নিজস্ব প্রতিবেদক
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির আলোকে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এই কার্যক্রম আগামী ২০ মার্চ থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যকর করতে হবে। বুধবার (১০ মার্চ) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
শিক্ষকদের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা
১)প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে) দিতে হবে।
২) নির্ধারিত বিষয়বস্তুগুলোর প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ জমা নেওয়া, মূল্যায়ন করা, মূল্যায়নকারীর মন্তব্যসহ শিক্ষার্থীদের দেখানো এবং প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের কাজটি সময়ে সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
৩) এই কার্যক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪) প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সকল মূল্যায়ন রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
৫) অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের আওতায় বাধ্যতামূলক প্রশ্ন, নির্দেশনা অনুসরণ করে নিবন্ধ, রচনা, অনুচ্ছেদ লিখন, সাহিত্য পর্যালোচনা, কেইস স্টাডি, প্রজেক্ট, পরীবিক্ষণ, সারসংক্ষেপ, সারাংশ লিখন, মডেল, চার্ট, পোস্টার তৈরি, ছবি অংকন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নির্ধারিত মূল্যায়ন নির্দেশক/রুব্রিক্স অনুযায়ী এগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।
৬) শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সাদা কাগজে নিজ হাতে লিখে জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৭) শিক্ষার্থীর লেখায় তার মৌলিক চিন্তা, কল্পনা ও সৃজনশীলতা প্রতিফলিত হয়েছে কিনা শিক্ষক তা বিশেষভাবে লক্ষ্য করবেন।
৮) প্রদত্ত উত্তরে প্রয়োজনীয় তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ব্যাখ্যা ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।
৯) প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ মূল্যায়ন করে তার সবল/দুর্বল দিকগুলো খাতায় চিহ্নিত করতে হবে এবং এমনভাবে তার মন্তব্য লিপিবদ্ধ করতে হবে যাতে শিক্ষার্থী তার সবল ও দুর্বল দিকগুলো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে।
১০) মূল্যায়ন করার পর শিক্ষক তার মতামতসহ অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ শিক্ষার্থীদের দেখানোর ব্যবস্থা করবেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় সেটি ফেরত এনে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন।
১১) শিক্ষক একটি অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের সামগ্রিক মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন এরূপ মন্তব্য করবেন।
মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নির্দেশক বিবেচনা করতে হবে যেভাবে
অতি উত্তম: পূর্ণমাত্রায় বিষয়বস্তু সঠিক ও ধারাবাহিক, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং লেখায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
উত্তম: বিষয়বস্তু সঠিক ও ধারাবাহিক, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং লেখায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
ভালো: বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি আংশিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ এবং লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা রয়েছে।
অগ্রগতি প্রয়োজন: বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি সঙ্গতির অভাব এবং লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব থাকলে অগ্রগতি প্রয়োজন মন্তব্য করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই এতে।
Discussion about this post