নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে শিক্ষকের মর্যাদা পেলেন স্কুল ও কলেজে কর্মরত গ্রন্থাগারিক, সহকারি গ্রন্থাগারিক ও ক্যটালগাররা। আজ বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবলা কাঠামো-২০২১ প্রকাশ হয়েছে। এতে এই নতুন তথ্য জানা গেছে। গ্রন্থাগারিকদের পদের নতুন নাম ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ এবং সহকারি গ্রন্থাগারিক কাম ক্যটালগারদের পদের নতুন নাম ‘সহকারি শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’ । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহকারী গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারিকরা শিক্ষকের মর্যাদা পান।
এই খবরে বিদ্যালয়ের সহকারি গ্রন্থাগারিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষাসচিব মো: মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো: মোমিনুর রশিদ আমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের কর্মচারী অর্থাৎ নন-টিচিং স্টাফ থেকে বাদ দেয় সরকার। কিন্তু তাদের অবস্থান কোন ক্যাটাগরিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে প্রতিদিনই তাঁরা নানাভাবে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিকরা বিভিন্নভাবে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছিলেন। তাঁরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাওয়ার পরেও স্কুলে নানাভাবে অবহেলিত ছিলেন। সহকারী গ্রন্থাগারিকরা মাউশি অধিদপ্তরের নির্দেশনায় লাইব্রেরি ক্লাস নিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক শ্রেণিকক্ষেও পাঠদান করে চলছেন।
বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা সহকারী গ্রন্থাগারিকদের অফিস সহকারীর সমান মনে করেন। কর্মচারীদের সাথে বসতে দেন। খাতায় সই করতে দেন। কিন্তু সহকারী গ্রন্থাগারিকদের নিয়োগকালীন যোগ্যতা স্নাতক ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা, যা একজন সহকারী শিক্ষকের সমমান।
শিক্ষকের মর্যাদা চেয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিকরা হাইকোর্টে রিট করেছেন। সহকারী গ্রন্থাগারিকদের কেন শিক্ষক মর্যাদা দেয়া হবে না এই মর্মে হাইকোর্ট রুলও জারি করেছেন। হাজার হাজার সহকারী গ্রন্থাগারিক আদালতের দিকে চেয়ে ছিলেন।
Discussion about this post