নিজস্ব প্রতিবেদক
আপাতত মূল বেতনের ২৫ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ বোনাস দেয়া হবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের । তবে ভবিষ্যতে মূল বেতনের শতভাগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় দেয়া হলে তা কার্যকর করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সচিব আরও বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে সবার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংশোধিত এমপিও নীতিমালার জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুল রশিদ আমিন বলেন, এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। নীতিমালায় বলা ১১.৭ এর উপধারা ‘ঙ’ তে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারীদের মুল বেতন/বোনাসের নির্ধারিত অংশ /উৎসব ভাতার নির্ধারিত অংশ /বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের জাতীয় বেতন স্কেল -২০১৫/সরকারের সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সাথে অথবা সরকারের নির্দেশনার সাথে মিল রেখে করতে হবে’। অর্থাৎ এখন যে ২৫ শতাংশ হারে বোনাস ও উৎসব ভাতা পান সেভাবে তারা পাবেন।
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যদি শতভাগ বোনাস ও উৎসব ভাতা দেয়া হতো তাহলে বেতন-বোনাসের নির্ধারিত অংশ বলা হতো না। কারণ সরকারি কর্মকর্তারা শতভাগ বোনাস পান। তাদের ক্ষেত্রে কি বেতনের নির্ধারিত অংশ বোনাস পাবেন বলা হয়? তারমানে যারা শতভাগ বোনাস পান তাদের জন্য নির্ধারিত অংশ বলার প্রয়োজন নেই।
জানা গেছে, সারাদেশের ২৮ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪ লাখ ৬ হাজার ৪৬৯ জন শিক্ষক এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬১ জন কর্মচারী রয়েছেন।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পান ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস। তবে সরকারি চাকরিজীবীদের মত ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা পান।
দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শতভাগ ঈদ বোনাসের দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবি মেনে নেয়া হয়নি।
Discussion about this post