নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথমবারের মতো সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের ৫ হাজার ৪৫২ জন সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাদের পদোন্নতি দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, নানা জটিলতার পর জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এখন থেকে ৯ম গ্রেড বা প্রথম শ্রেণির গ্রেডে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় সংশোধনী এনে সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়। তার আলোকে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে গ্রেডেশন (জ্যেষ্ঠতা) অনুযায়ী ৭ হাজার ২৭৫ জনের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ৫ হাজার ৪৫৪ জনকে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির মতামতের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতা সমস্যা নিরসনে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত মতামত দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে নানা জটিলতায় তা এতদিন আটকে ছিল। এখন সব জটিলতার নিরসন হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত পদোন্নতি চালু থাকবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন একই পদে চাকরি করা সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক জানান, তাদের বঞ্চনার শেষ নেই। ওপরের দিকে পদ না থাকায় সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করে এ পদেই অবসরে যেতে হচ্ছে অনেককে। আন্দোলনের পর জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পদ সৃষ্টি হলেও নানা জটিলতায় সেই পদোন্নতি না হওয়ায় তারা হতাশ ছিলেন। পদোন্নতি জট খোলায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
পদোন্নতি কমিটির সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা জটিলতার পর শিক্ষকরা এ পদোন্নতি পেলেন। ভবিষ্যতে এ পদোন্নতি অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post