নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি স্কুল কলেজের মত এখন মাদরাসার গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকরাও পেলেন শিক্ষক মর্যাদা । দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ পাওয়া সহকারী গ্রন্থাগারিক-ক্যাটালগার পদের নাম হবে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এবং আলিম মাদরাসা, বিএম কলেজ, কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারিক পদের নাম হবে গ্রন্থাগার প্রভাষক।
এসব পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এনটিআরসিএকে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে ।
আদেশে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ বলছে, বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ [ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম), কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা] (২৩ নভেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) নীতিমালায় আগের সহকারী গ্রন্থাগারিক’ পদটি ‘সহকারী শিক্ষক ( গ্রন্থাগার ও তথা বিজ্ঞান)’ পদ হিসেবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) নীতিমালায় আগের ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার পদটি ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য ‘বিজ্ঞান)’ ও পূর্বের ‘গ্রন্থাগারিক’ পদটি ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’ এবং ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলের অন্যান্য শিক্ষকের মত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তীর্ণদের সনদ প্রদানসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক স্ব স্ব অধিদপ্তরের চাহিদার অনুকূলে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে।
তবে, এ আদেশ জারির আগে অর্থাৎ ১৮ জুলাইয়ের আগে বিধিমোতাবেক যাদের নিয়োগ ফল প্রকাশ করে প্রার্থী চূড়ন্ত করা হয়েছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আগের নিয়মে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, এ আদেশ জারির পর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি বা অ্যাডহক কমিটি এ পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এ আদেশ জারির পর এসব পদে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলে তা অবৈধ নিয়োগ বলে বিবেচিত হবে এবং তারা কোনোভাবেই এমপিওভুক্তির আওতায় আসবে না।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগে বেশকিছু দিন ধরে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হচ্ছিল না। অনেক প্রার্থী আবেদন করলেও নিয়োগ প্রত্যাশীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছিল না মাদরাসাগুলো। এ পদগুলোতে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। পরে মাদারাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ পদগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে সিদ্ধান্ত চেয়েছিল অধিদপ্তর।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, মাদরাসার গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষক মর্যাদা দেয়া হলে তাদের নিয়োগ কিভাবে হবে সে বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছিল।
Discussion about this post