নিজস্ব প্রতিবেদক
গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণার্থীদের অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে দেশের সকল পিটিআইকে (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) নির্দেশ দিয়েছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দেয়া এ সংক্রান্ত আদেশে দেশের ৬৭টি পিটিআইয়ের ইন্সট্রাক্টরদের (আইসিটি) সহায়তায় গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে ডিপিএড অনলাইন কার্যক্রম অধিকতর কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় ৯টি করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।
৯টি করণীয় নির্দেশনা
১) গুগল ক্লাসরুমের মাধ্যমে সকল ডিপিএড (ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন) প্রশিক্ষণার্থীর একটি পোর্ট ফোলিও তৈরি।
২) সকল ইইন্সট্রাক্টরের কার্যক্রমের একটি পোর্টফোলিও তৈরি।
৩) গুগল ক্লাসরুমের স্ট্রিম ব্যবহার করে প্রতিদিন কোন বিষয়ের কোন অধ্যায়ের কত পৃষ্ঠা থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়াবেন, তা তথ্যপত্র আগে থেকেই আপলোড করতে হবে। ফলে প্রশিক্ষার্থীরা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
৪) ক্লাসটি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রশিক্ষক তার তথ্যপত্র ও ক্লাসের ভিডিও আপলোড করতে পারেন। ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা পরবর্তীতে ক্লাসটি দেখতে পারবেন।
৫) প্রশিক্ষক কোনও অ্যসাইনমেন্ট বা কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে গুগল ক্লাসরুমের স্ট্রিমে গিয়ে পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ক্লাসের সঙ্গে সংযুক্ত সকল প্রশিক্ষণার্থী নোটিফিকেশন পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে প্রশিক্ষণার্থী উপস্থাপন বা মতামত ব্যক্ত করতে পারবেন।
৬) প্রশিক্ষক গুগল ক্লাসরুমের ক্লাসওয়ার্কে গিয়ে কোনও অ্যানাইনমেন্ট দিলে ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীরা নোটিফিকেশন পাবেন এবং খসড়া অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে প্রশিক্ষক মূল্যায়ন করে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং সেইসঙ্গে ডিপিএড প্রশিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট/কেসস্টাডির নম্বর জানতে পারবেন।
৭) প্রশিক্ষক গুগল ক্লাসরুমের ক্লাসওয়ার্ক এমসিকিউ, ছোট প্রশ্ন দিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিতে পারবেন। এমসিকিউ প্রশ্ন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর কাছে এলোমেলো অর্থাৎ কারও কাছে প্রথমে ১ নম্বর এমসিকিউ আগে আসবে, অন্যজনের কাছে ১ নম্বর এমসিকিউ সবার পরে আসতে পারে। ছোট প্রশ্নের ক্ষেত্রে একইরকম ব্যবস্থা করা যায়।
৮) ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের স্কুলভিত্তিক প্লেসমেন্ট হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি স্কুলে ৮ থেকে ১৪ জন প্রশিক্ষার্থী (অনুশীলন বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ও ক্লাস সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষক সংখ্যা কম/বেশি হয়ে থাকে) অনুশীলন করে থাকেন। করোনাকালীন এভাবে প্লেসমেন্ট ধরে ওই ৮ থেকে ১৪ জন ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গুগল মিটে ক্লাস নিতে পারবেন। অন্য ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীরা ও পিটিআই ইন্সট্রাক্টর অবজারভার হিসেবে থাকবেন। ক্লাস শেষ হলে অন্য লিংকে গিয়ে (প্রশিক্ষণার্থীর সামনে নয়) পিটিআই ইন্সট্রাকটর প্রত্যেক ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীর কাছে জানতে চাইবেন। এই ক্লাসটির সবল দিক ও উন্নয়নের দিক। সুপারিশগুলো ইন্সট্রাকটর রেকর্ড করবেন এবং সকল ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে শোনার পর ইন্সট্রাক্টর সার সংক্ষেপ করে বক্তব্য দেবেন, যেন পরবর্তী ক্লাসে যে ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী ক্লাস নেবেন, তিনি যেন আগের ক্লাসের ভুলগুলো না করেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে ক্লাসে সকল ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী ক্লাস নেবেন এবং অন্যরা ফিডব্যাক দেবেন। কিছুদিন এভাবে ক্লাস নেওয়ার পর প্রত্যেক ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী গুগল মিটে তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া শুরু করতে পারেন এবং তা রেকর্ড করে গুগল ক্লাসরুমের মাধ্যমে জমা দিতে পারেন।
৯) ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী ও পিটিআই ইন্সট্রাক্টরের আলোচনাগুলো ভিডিও/অডিও গুগল ক্লাসরুমে আপলোড করা যেতে পারে। তাহলে পরবর্তীতে ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীরা বার বার দেখে নিজেকে দক্ষক শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
Discussion about this post