শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষক সম্রাট কুমার দে-কে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন (ডিমোশন) করা হয়েছে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭২তম সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈশ্বিক মহামারির কারণে সদস্যদের অনেকে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী সম্রাট কুমার দে-কে বর্তমান পদ থেকে নিম্নপদে অবনমন (ডিমোশন) করা হয়। আগামী দুই বছর তিনি সহকারী অধ্যাপকের জন্য পদন্নোতির আবেদন করতে পারবেন না।
সভার শুরুতে রীতি অনুযায়ী যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে এবং কোনো ক্লাস যেন মিস না করে। এ জন্য শারীরিক ও ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আমরা ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম’-এ চলে যাচ্ছি। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, এ পদ্ধতিতে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
গতবারের মতো এবারও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ক্ষেত্রে তার ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গবেষণা প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এলসভিয়ারের স্কোপাস ইনডেক্সে ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে যবিপ্রবি এবারও প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আমাদের গবেষণা কর্মের ৪২.৬ শতাংশ কিউ-১ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সাইটেশন ইম্প্যাক্টে আমরা বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে আছি।
সভায় সশরীরে ও ভার্চুয়ালি আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহি আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন, যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সরকারি এম এম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. হাসান সরোওয়ার্দী, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ-উদ-দৌলা, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
Discussion about this post