শিক্ষার আলো ডেস্ক
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’ এর বিধি ৯ অনুযায়ী, কমিটির মাধ্যমে এবং প্যানেল পদ্ধতিতে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ফয়জুল্লাহ (ফয়েজ)। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল ইসলাম।
একইসঙ্গে ২০২০ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পোষ্য কোটা রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় অংশগ্রহণ করা ৩৬ জন আবেদনকারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করলেন আদালত।
এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৬০ ভাগ ও ২০ ভাগ পোষ্য কোটার প্রচলন রয়েছে।
গত ১৮ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৬০ ভাগ ও ২০ ভাগ পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তারেক রহমান নামে এক প্রার্থী। ওই প্রার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।
Discussion about this post