শিক্ষার আলো ডেস্ক
মুজিব শতবর্ষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা যোগ দিয়েছেন।
কর্মসূচি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের সভাপতি মো. শাকিল আহমেদ।
তিনি বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবি আদায় করতে সারাদেশ থেকে নিবন্ধিত প্রার্থীরা ঢাকায় এসেছেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত আমরা এনটিআরসিএর সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবো। এরপর এখান থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সামনে যাবো। সেখানেও আমাদের অনশন কর্মসূচি চলবে।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মো. জাকির। তিনি বলেন, নিবন্ধন জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবহেলিত ব্যাচ হচ্ছে ১৬তম।
মাত্র সাতদিনের ভাইভা বাকি থাকার কারণে আমরা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের অনেকেরই বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি। এই অবস্থায় আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের দাবি আদায়ে অনশন ছাড়া আর কোনো পথ দেখছি না।
জানা গেছে, সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করি ২৩ মে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভাইভা পরীক্ষার মাত্র সাত দিন বাকি থাকায় আমরা ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। করোনা মহামারির কারণে আমাদের লিখিত ও ভাইভার ফল প্রকাশে অনেক দেরিতে হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেকের বয়সই ৩৫ পার হয়ে গেছে বা কাছাকাছি রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আমাদের শিক্ষক হওয়ার লালিত স্বপ্ন আজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা এখন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন গুনছি। আমাদের ১৮ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের অসহায়ত্ব ও বয়সের কথা বিবেচনা করে বর্তমানে সারা দেশের শূন্যপদের তথ্য নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
Discussion about this post