শিক্ষার আলো ডেস্ক
চাকরি সরকারিকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের (স্টেপ) অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকরা।
এসব দাবিতে সাতদিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম দিনের মতো অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, বিগত ১৯ মাস ধরে আমাদের বেতনভাতা বন্ধ। স্টেপ প্রকল্পের অধীনে দেশের ৪৯টি সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেও তা মানা হচ্ছে না। বর্তমানে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছেআমাদের। তাই দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শতাধিক শিক্ষক।
তারা বলেন, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি লাগাতার চললেও ৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কারিগরি শাখার শিক্ষক নেতারা। সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা অনুযায়ী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতীকী অনশন পালন করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি মানা না হলে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন পালন করা হবে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো কেউ যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, ২০১০ সালে শুরু হয় স্টেপ প্রকল্প। এর আওতায় ২০১২ ও ২০১৪ সালে দুই দফায় নিয়োগ পাওয়া এক হাজার ১৫ জনের মধ্যে থেকে ৭৭৭ জন শিক্ষক এখনো কর্মরত। ২০১৯ সালের জুনে প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এসব শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্টে অর্ডারও করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রকল্প শেষে এক বছর তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালের জুলাই থেকে বেতন বন্ধ রয়েছে।
এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আইডিইবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি অবিলম্বে মেনে নেওয়া না হলে আইডিইবির পাঁচ লাখ সদস্য ও চার লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে রাস্তায় নামা হবে।
তিনি সহানুভূতির সঙ্গে শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানান।
Discussion about this post