নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেড অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবির করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে এ দাবি জানানো হয়।
রাজধানীর গেণ্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ পারভেজ প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। শিক্ষকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণা এবং আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে উন্নীতসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করে সরকারি আদেশ বা জিও জারির মাধ্যমে বকেয়া বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা চাওয়া হয়।
আবেদনে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, আপনার ঘোষিত প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা ও পদমর্যাদা অনুযায়ী ১০ম গ্রেড গত সাত বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৮ সালে হাইকোর্টে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট মামলা দায়ের করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষে আপিল করা হয়। গত ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগ সরকারের করা আপিল আবেদন শুনানি শেষে খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা ও আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করে সরকারি আদেশ বা জিও জারির মাধ্যমে যাবতীয় বকেয়া বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধাদি প্রদানের ব্যবস্থা নিতে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Discussion about this post