শিক্ষার আলো ডেস্ক
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিটিই) ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ)’ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন চলছে।
এর আগে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখা’ একই দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি। শিক্ষকরা দাবি আদায়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অনশন করতে গিয়ে এরই মধ্যে একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা অনশন করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তারপরও তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় হচ্ছে না। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অনশন করতে গিয়ে যদি একজন শিক্ষক বা কর্মচারীর কিছু হয়, এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে এবং ১৯ মাসের বকেয়া বিল প্রদান করে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন বাঁচান।
অনশনরত শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মঙ্গলবার আমাদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে কাজ করছেন জানিয়ে আমাদের অনশন ভাঙতে বলেছেন। আমরা বলেছি, শহীদ মিনারে এসে দাবি আদায়ের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য না দেওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙব না। আমরা চাই, সরকার দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক। তাহলে আমরাও ঘরে ফিরতে পারি। তীব্র শীতের মধ্যে শহীদ মিনারে থাকতে আমাদেরও ভালো লাগে না।
শিক্ষকরা জানান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন কর্মরত শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর দ্রুত সম্পন্ন করা ও ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে এই অনশন চলছে।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ওই ৭৮৬ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠায়। প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত বর্তমানে কর্মরত ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ১৯ মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
Discussion about this post