নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলকে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।
তৃতীয় ধাপে ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশের পর প্রতিদিন গড়ে ৫০টির বেশি অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের স্তূপ জমেছে এনটিআরসিএতে। অভিযোগ রয়েছে প্রার্থী নারী হওয়ায় তাকে যোগদান করতে না দেওয়ার। কোনো কোনো স্কুল থেকে দাবি করা হচ্ছে অর্থ। আবার কেউ কেউ কম্পিউটার কিংবা আসবাবপত্রও দাবি করছেন। এতে মহা সংকটে পড়েছেন সুপারিশপ্রাপ্তরা।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থী যোগদানের সময় অর্থ চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ আমাদের দপ্তরে এসে জমা হয়েছে। আমরা এগুলো যাচাই করে দেখছি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি যোগদান শেষ হবে। এরপর আমরা অভিযোগগুলো নিয়ে বসব। সুপারিশপ্রাপ্ত সকলকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এনামুল কাদের খান বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান করতে দিচ্ছে না সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। তারা যদি সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারে তাহলে তাদের এমপিও স্থগিত করা হবে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটিও বাতিল করা হতে পারে।
নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব জনবল না থাকায় আমরা উপজেলা এবং জেলা শিক্ষা অফিস থেকে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্ভুলভাবে তথ্য দিতে বলা হলেও অনেক তথ্যে ভুল ধরা পড়ে। তারা আমাদের অধীন না হওয়ায় আমরা তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারিনা।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজারের বেশি পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গত বছরের ১৫ জুলাই তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। সম্প্রতি ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের কাছে যোগদানের জন্য অর্থও দাবি করা হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষককে যোগদান করতে না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আবার সরাসরি অর্থ না চেয়ে দাবি করা হচ্ছে কম্পিউটার বা বিভিন্ন আসবাবপত্র। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধানদের যোগসাজশে প্রার্থীদের জিম্মি করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা গণমাধ্যমকে বলতেও ভয় পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
Discussion about this post