শিক্ষার আলো ডেস্ক
মে মাসে শুরু হতে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম । পাইলটিং শেষ হওয়ার পরপরই নিয়মিত বদলি কার্যক্রম শুরু হবে, চলবে বছরব্যাপী। অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী শূন্যপদে বদলি করা হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পর মে মাসের মধ্যে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হবে। পাইলটিংয়ের পর অভ্যন্তরীণ বদলি কার্যক্রম চলবে। বছরব্যাপী এই বদলি কার্যক্রম চলবে অনলাইন আবেদনের বিপরীতে। পাশাপাশি সরকারের প্রয়োজনে প্রশাসনিকভাবে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা প্রথম ধাপে নেওয়া হবে ২২ এপ্রিল। দ্বিতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মে মাসে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন নিয়োগ করা শিক্ষকদের পদায়নের আগেই বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে মে মাসের শেষে বা জুন মাসের প্রথমে। অনলাইনে আবেদন চাওয়া হবে ১৫ দিন সময় দিয়ে। শিক্ষকদের ১৫ দিনের জমা হওয়া আবেদন যাচাই-বাছাই করে বদলি করা হবে। কয়েকদিন সময় দিয়ে আবারও ১৫ দিনের সময় দিয়ে আবেদন চাওয়া হবে অনলাইনে। নতুন নিয়োগ পাওয়াদের পদায়নের আগে অনলাইনে আবেদন করা শিক্ষকদের জরুরি বদলি কার্যক্রম শেষ করা হবে। তারপর শূন্যপদের তথ্য নিয়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়ন করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক বদলিতে অনিয়-দুর্নীতি বন্ধে ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু প্রথমে সফটওয়্যার প্রস্তুত না হওয়ায় এবং পরে করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
Discussion about this post