শিক্ষার আলো ডেস্ক
ভাঙড়ি টিনের দরে কম্পিউটার সামগ্রী বিক্রি করা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এস্টেট অফিসের সেই ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টিপু সুলতানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে শোকজের জবাবে তার ও তার সহযোগীদের বক্তব্য ও ঘটনার বস্তুনিষ্ঠতা নিরূপন এবং লেকের পাশের গাছ বিক্রির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা দেয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শৰ্মা ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টোরে রক্ষিত অব্যবহৃত মালামাল বিক্রয়ের বিষয়ে শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে দাফতরিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে উপ-রেজিস্ট্রার জনাব টিপু সুলতান, সহকারী রেজিস্ট্রার বকুল হোসেন, শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনের শোকজ নোটিশের জবাবে তাদের বক্তব্য ও ঘটনার বস্তুনিষ্ঠতা নিরূপন এবং লেকের পাশের গাছ বিক্রির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা দেয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন ভিসি। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে ৫০ টাকা দরে ৪৩টি কম্পিউটারের পুরোনো মনিটর বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এস্টেট দফতরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান ও তার তিন সহকারী সহকারী রেজিস্ট্রার বকুল হোসেন, শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও ভাঙড়ি টিনের দরে (৪১ টাকা কেজি দরে) ৪৩টি সিপিউ, একটি পুরাতন টাইপিং মেশিন, প্রিন্টার, তিনটি ফটোকপি মেশিন এবং গড়পর্তা দামে একটি পুরনো এসি, ২৩ কেজি ওজনের ৬টি লোহার পাইপ, প্রায় সাড়ে চারশ কেজি পুরোনো কাগজ বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। জিনিসগুলো প্রায় ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গত ১৫ মে ওই চার কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়।
Discussion about this post