নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিষদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা জনবল কাঠামো এবং এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী ১০ বছর ও ১৬ বছর সন্তোষজনক চাকরি শেষে এই গ্রেড চান শিক্ষক নেতারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্রমান্বয়ে দাবি আদায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করবো। শুরুতে আলোচনা করবো। যদি আলোচনায় সমাধান না আসে তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিতে পদাধিকারবলে সহকারী সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তর, সংস্থা, কার্যালয় কর্তৃক সময় চাহিদার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক রিপোর্ট তৈরি ও দাখিলের সময় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করাসহ তাঁদের স্বাক্ষর নেওয়া, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করা, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কমপক্ষে ৩ বছর দায়িত্ব পালন শেষে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে আবেদন করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ প্রদান, সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদকে উপাধ্যক্ষ পদে উন্নীত করা, নির্দিষ্ট সময় পর পর ইন সার্ভিস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব পদে কর্মরতদের যুগোপযোগী চাকরিবিধি প্রণয়ন করাসহ তা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করাসহ শিক্ষাসংশ্নিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ডেপুটেশনে কাজ করার সুযোগ দেওয়া, প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে সময় বর্ধিতকরণ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান বন্ধ করা ও অবিলম্বে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সহকারী প্রধান শিক্ষকের সব শূন্যপদ এনটিআরসিএর মাধ্যমে পূরণ করা এবং কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত সরকারিভাবে তদারকির ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিষদের বিভিন্ন সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post