শিক্ষার আলো ডেস্ক
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত তালিকায় ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র্যাংকিং-২০২৩’ এই বছর স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৭৬ জন গবেষক। আর বিশ্বসেরা গবেষকদের এই তালিকায় স্থান পেয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিভিন্ন বিভাগের ৮৮ জন গবেষকের নাম।
এতে সারাবিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।
২০২২ সালের এপ্রিলে এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্সে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৫ জন গবেষকের নাম ছিল। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৯ জন হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ৮৮ জন গবেষকের নাম স্থান পায়।
ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র্যাংকিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩২ জন গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন গবেষক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৪ জন গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯৫ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৪ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।
সংস্থাটির ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়।
এছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
Discussion about this post