নিজস্ব প্রতিবেদক
আত্তীকরণ ও অ্যাডহক নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ায় তাদের এমপিও বন্ধ হয়েছে গত ৬ মাস আগে। কিন্তু রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা প্রাপ্তির সম্পূর্ণ কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় তারা বেতন পাচ্ছিলেন না। ছয়মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন সরকারিকৃত ১৭টি হাইস্কুলের প্রায় সাড়ে চারশ শিক্ষক-কর্মচারী।
রোববার (৩ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি মাধ্যমিক স্কুল খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দের টাকা ছাড় করা হয়। একই সাথে ১৭টি সরকারিকৃত স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়াসহ বেতন ভাতা পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ১৭টি সরকারিকৃত স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা উত্তোলনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
স্কুলগুলো হল, কুষ্টিয়ার সরকারি ভেড়ামারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, যশোরের অভয়নগর নওয়াপাড়া শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনার দিঘুলিয়া সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নীলফামারী সৈয়দপুর তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকার লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর নকিপুর এইচ সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমিল্লার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বাগেরহাটের রামপালের গিলাতলা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটির কাউখালী পোয়াপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বিলাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার পূর্বধলা জে এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বারহাট্টা সি কে পি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জের ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনীর ফুলগাজী পাইলট হাইস্কুল, নড়াইলের লোহাগাড়া সরকারি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকার শ্যামপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রোববার (৩ মে) ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি মাধ্যমিক স্কুল খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দের টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিকৃত ১৭টি স্কুল-কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই এসব স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া ভাতা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে করোনার ক্রান্তিলগ্নে সরকারিকৃত ১৭টি স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুধাংশু শেখর তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন।
Discussion about this post