নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ছিলো নতুন এমপিও হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে এমপিওর আবেদন করার শেষ দিন। যথাসাধ্য চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে আবেদন সাবমিট করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী।
সার্ভার ও সফটওয়্যার জটিলতায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । অথচ নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকের আবেদনের শেষ দিন আজ। কারিগরির গতকাল ৩ মে শেষ হয়েছে। কলেজ ও মাদরাসার শেষদিন ৬ মে। এ মতাবস্থায় শিক্ষকরা কয়েকদিন সময় বাড়ানো এবং সার্ভার জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া চলমান লকডাউনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেননি অনেক মাধ্যমিক শিক্ষক। তাই সারাদেশের শিক্ষকরা আবেদনের সময় বৃদ্ধি ও সার্ভার ঠিক করার আকুল দাবি জানিয়েছেন। নতুবা তারা ঈদের আগে এমপিওর টাকা হাতে পাবেন না।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা অধিদপ্তরের এমপিওর সফটওয়ারে সমস্যা বেশি। কারিগরিতেও সমস্যা রয়েছে তবে তুলনামূলক কম।
জানা গেছে,নতুন পদ্ধতিতে এবার কোড নম্বর দেয়া হলেও তা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ বা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানায়নি ইএমআইএস সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অথচ মন্ত্রণালয় কোড দেয়ার আদেশ দিয়েছে পাঁচদিন আগে। কোড না পেয়ে শিক্ষকদের প্রথম দিনের সিংহভাগ কেটেছে জটিলতায়। শিক্ষকরা জানান, ২ মে বিকেলে শিক্ষার আলো পত্রিকার প্রতিবেদনে তারা জানতে পেরেছেন কোড পাওয়ার বিষয়টি। এরপর থেকে আজ ৪ মে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষকদের অনেকে সফটওয়্যারের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলেও এমপিওর আবেদন করতে পারেননি সার্ভার ও ওয়েবসাইটে জটিলতার কারণে। ফলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এটাচ করে সাবমিট করলেও তা সাবমিট নিচ্ছে না।
জানা গেছে, মে মাস থেকেই নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মে মাসের শুরু থেকেই শিক্ষকদের এমপিও আবেদন প্রক্রিয়া করা হয়েছে। ঈদের আগেই শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে বলে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এ প্রসংগে জানান `বিষয়টা আমরা দেখতেছি। আলোচনা করে পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
Discussion about this post