মনোয়ারুল ইসলাম
আমাদের পরম সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন কালজয়ী নেতা বাংলাদেশের ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে তাঁর অনন্য নেতৃত্বে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের বিজয় এনে দিয়েছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। যত দিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুও এ দেশের মানুষের হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয় একাত্তরের সেই উত্তাল মার্চের এক অপরাহ্ণে তাঁর ৩২ নম্বরের বাসভবনে। বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, রেহমান সোবহান, আনিসুর রহমান, মোজাফ্ফর আহমদ প্রমুখকে নিয়ে ছয় দফা বাস্তবায়ন পরিষদ গঠন করেছিলেন। আমি তখন প্রাদেশিক সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাজেটে কত পাওনা ছিল, কতটা পাওয়া যেত এবং সেই টাকা এমনভাবে দেওয়া হতো, যাতে কার্যকর কিছু করা না যায়-এসব তথ্য আমার দপ্তরেই থাকত।
রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এই পরিষদের আলোচনার সময় আমিও উপস্থিত থাকতাম। বঙ্গবন্ধু তখন আমাকে সরাসরি কিছু বলেছিলেন কি না কিংবা সেই বৈঠকে আমার উপস্থিতি মনে রেখেছেন কি না, তা কখনো জিজ্ঞেস করিনি। কিন্তু ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি আমি প্রথম যখন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে উপসচিব হিসেবে যোগদান করি, তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়। প্রথম দিন থেকেই তিনি আমাকে অমায়িকভাবে কাছে টেনে নেন এবং তাঁর সেই স্নেহ ১৯৭৫ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত অম্লান ছিল। মনে হয় বঙ্গবন্ধুর একটি সম্মোহনী শক্তি ছিল, যাকে রাজনীতির পরিভাষায় ক্যারিশমা বলে এবং তা মানুষকে দারুণভাবে আকর্ষণ করে। অবশ্য এ-ও সত্য, ভালো না বাসলে কোনো দিন ভালোবাসা পাওয়া যায় না।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেই লেখায় বঙ্গবন্ধুর টুকরো টুকরো অনেক ঘটনার স্মৃতিচারণা করেছিলাম। এরপর প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা। বর্তমান প্রজন্মের পাঠকেরা এই দুটি বই পড়লে বঙ্গবন্ধুর জীবনচেতনা, রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও বাংলার মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিক ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আমি বঙ্গবন্ধুর কিছু ছোট্ট ঘটনার কথা বলব, যা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর উন্নয়নচিন্তা ও গভীর প্রকৃতিপ্রেম উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু চিরকালই তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নকে দেশের উন্নয়নের প্রথম ধাপ মনে করতেন। সহজ বাংলায় বলতে হয়, ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রয়াস।’ উন্নয়নের সুফল যাতে মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত না হয়, এ জন্য তিনি উন্নয়নের সংগঠন হিসেবে সমবায় পদ্ধতির কথা ভাবতেন। স্মরণ করা যেতে পারে যে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে সমবায়েরও দায়িত্বে ছিলেন।
মনে পড়ে, একবার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভোলার ঢাল চরের কাছ দিয়ে লঞ্চে যাচ্ছিলাম। খুব কাছে লঞ্চ আসতেই দেখি হাজার হাজার মহিষ কচি ঘাসের প্রান্তর চষে বেড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধু লঞ্চ থামিয়ে কয়েকজন রাখালকে ডাকলেন এবং জানতে চাইলেন, তাঁদের সমস্যা কী? রাখালেরা বললেন, এই দুর্গম এলাকায় মহিষের দুধ বিক্রির কোনো ব্যবস্থা নেই। তখন বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, এখানেও মিল্ক ভিটার মতো দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করতে হবে।
দেশের যে সম্পদ আছে, তার ওপর ভিত্তি করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন করা উচিত-এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নচিন্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সে সময়ে আমরা মেগা প্রকল্প নিয়ে ভাবতে পারতাম না, আমাদের সেই জনবল বা অর্থবল ছিল না। বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের ভাষণে যে বলেছিলেন, তোমাদের যার যা আছে, তা-ই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মুক্তিসংগ্রামে সেই ঝাঁপিয়ে পড়ার এক অর্থ ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরও তিনি সে কথা মনে রেখেছিলেন এবং আমাদের যে সম্পদ আছে, তা নিয়েই দেশ গঠনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। ঢাল চরের ঘটনায় আমার সেটাই মনে হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো একটি মহাপ্রকল্প যে বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটি আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনারই প্রতিফলন। এখন বাংলাদেশে উন্নয়ন কার্যক্রম অনেক দ্রুত এগিয়ে চলছে। কিন্তু উন্নয়নের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সমাজে অসম উন্নয়নের ফলে যে বৈষম্য ও বিভাজন সৃষ্টি হয়, তার ফলে সামাজিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বঙ্গবন্ধু বঞ্চিত মানুষদের সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের অংশীদার করার বিষয়টিতে খুবই গুরুত্ব দিতেন।
মাঝেমধ্যে গণভবনে দেখতাম, বঙ্গবন্ধু অফিসের দেয়ালে টাঙানো বাংলাদেশের মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবছেন। একদিন আমি কাছে যেতেই আমার দিকে ফিরে বলতেন, ‘বাংলাদেশটা খুব ছোট, তাই না? চলো, একবার উপকূলের চরগুলো দেখে আসি।’ একদিন হেলিকপ্টারে তাঁর সফরসঙ্গী হলাম। বঙ্গবন্ধু পাইলটকে বললেন, ‘উপকূলে যেখানে ছোট ছোট চর পড়েছে, সেগুলো দেখতে চাই।’ মনে পড়ে, প্রথমে চর কুকড়ি-মুকড়ি, পরে নিঝুম চর (দ্বীপ) নামে একটি সদ্য জেগে ওঠা চরে হেলিকপ্টার নামল। বঙ্গবন্ধু কিছুক্ষণ চরের দিকে তাকিয়ে থাকলেন-বাড়িঘর নেই, মাঝেমধ্যে কাশবনের মতো কিছু ঝোপঝাড় আর জেলেদের দু-একটি কুঁড়েঘর। তাঁর অভিব্যক্তি দেখে মনে হলো, তিনি কিছু একটা ভাবছেন। পাইলটকে বললেন চরের প্রান্ত থেকে চারপাশে যত দূর সমুদ্রের তলদেশ দেখা যায়, তত দূর হেলিকপ্টার ঘুরিয়ে আনতে। আমরা দেখলাম, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র অগভীর, বিশাল চর জেগে উঠেছে। এরপর বঙ্গবন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমাদের দেশটা এখন ছোট। কিন্তু এই বিশাল এলাকায় বাঁধ দিয়ে দিয়ে যদি জমিগুলো উদ্ধার করতে পারি, তাহলে আরেকটি বাংলাদেশ জেগে উঠবে।’
পরবর্তীকালে সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারে কিছু কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখনো বিক্ষিপ্তভাবে কাজ চলছে। কিন্তু আমাদের মতো স্বল্প জমি ও বেশি মানুষের দেশে এই প্রকল্পে যে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল, তা আজও হয়নি।
সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী ও পরিবেশবাদী। গণভবনে কোনো জেলা প্রশাসক এলে নানা কথার মধ্যে বঙ্গবন্ধু তাঁকে প্রচুর গাছ লাগানোর কথা বলতেন। একবার তৎকালীন সিলেটের জেলা প্রশাসক এরশাদুল হক গণভবনে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার জেলায় যেখানে পতিত জমি আছে, সেখানে গাছ লাগাও না কেন?’ তিনি উত্তর দিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন শমশেরনগর বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। সেখানে শত শত একর জমি কোনো কাজে আসছে না। এরপর বঙ্গবন্ধু আমাকে ডেকে বললেন, ‘এরশাদুল হককে কিছু টাকা দিয়ে দাও। ও কয়েক হাজার কমলালেবুর চারা লাগাবে।’
বঙ্গবন্ধুর এই বনায়ন পরিকল্পনার মধ্যে আমি একদিন তাঁকে বললাম, ভাওয়ালের গড়ের জঙ্গল থেকে যেভাবে শাল, গজারিগাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে, তাতে কিছুদিন পর এই বন উজাড় হয়ে যাবে। এটি রক্ষা করার একমাত্র উপায় জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা। এরপর বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ঢাকার জেলা প্রশাসক সৈয়দ রেজাউল হায়াতকে গণভবনে ডাকলেন। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলো। কিন্তু টাকাপয়সার ব্যবস্থা নেই। রেজাউল হায়াত শেষ পর্যন্ত পূর্ত কর্মসূচির কিছু টিন দিতে রাজি হলেন। এই টিন দিয়ে এবং বনবিভাগের কাঠ ব্যবহার করে জয়দেবপুর জাতীয় উদ্যানের অফিসঘরটি তৈরি করা হলো। সর্বমোট খরচ হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। আমি যত বড় এলাকার প্রস্তাব করেছিলাম, অর্থাভাবে বন বিভাগ তার সবটা জাতীয় উদ্যানের আওতায় নিতে পারেনি। উদ্যানের বাইরে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ছিল, যা প্রায় উজাড় হয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিপ্রেমের আরেকটি ঘটনা বলি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দেওয়া হলো। বঙ্গবন্ধু বললেন, এই ঘোড়ার ওপর বাজি ধরে বহু পরিবার ফতুর হয়ে গেছে। এটি আর চলবে না। তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ডেকে বললেন, ‘রেসিং ট্র্যাকের ওপর সারিবদ্ধভাবে নারকেলগাছ লাগাও।’ একজন কর্মকর্তা আপত্তি জানিয়ে বললেন, ফলের গাছ লাগালে লোকজন সেই ফল চুরি করে খাবে এবং এ নিয়ে মারামারি হবে। বঙ্গবন্ধু হেসে বললেন, ‘জনগণের জমি, জনগণের গাছ। জনগণ যদি ফল খায়, আপনার-আমার আপত্তি কেন?’
অনেক সময় নিজেকে প্রশ্ন করি, বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আমরা শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার কী পেয়েছি? সেটি হলো সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অভিন্ন জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ করা। কিন্তু আজ আমরা সেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছি। রাজনৈতিক বিভাজন সামাজিক, অর্থনৈতিক, এমনকি ব্যক্তিগত বিভাজন ও বৈরিতা তৈরি করেছে। সবচেয়ে বিপদের কথা হলো, বিভাজনের রাজনীতির ফলে এক সরকার ক্ষমতায় এসে অন্য সরকারের সব অর্জন নস্যাৎ করে দিতে চায়। এভাবে চলতে থাকলে এই দরিদ্র দেশের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে, ভাবলে শঙ্কিত হই।
৪.
রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন
হলেও
বঙ্গবন্ধু অন্যান্য দলের
রাজনৈতিক নেতাদের কখনো
অসম্মান করতেন
না।
এ
প্রসঙ্গে একটি
ঘটনা
বলেই
আজকের
লেখাটি
শেষ
করব।
একদিন
বঙ্গবন্ধু কথা
প্রসঙ্গে আমাকে
বললেন,
‘এই
যে
মুসলিম
লীগের
ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব,
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
নিজে
পাকিস্তানি সেনাদের আমাদের
বাড়ি
দেখিয়ে
দিয়েছিলেন, আর
পাকিস্তানি সেনারা
আগুন
লাগিয়েছিল।’ সেদিন
আর
কিছু
বললেন
না।
কয়েক
দিন
পর
তিনি
আমাকে
ডাকলেন। কিছুটা
বিব্রত। বললেন,
‘মনোয়ার,
ওয়াহিদুজ্জামান সাহেবের স্ত্রী
আমার
বাসায়
এসে
উঠে
পড়েছেন। বলেছেন,
“তোমার
সরকার
আমাদের
ধানমন্ডির বাড়িটা
বাজেয়াপ্ত করেছে।
আমার
সাহেব
তো
বিলেতে। এখন
যদি
সরকার
আমার
বাড়ি
ছেড়ে
না
দেয়,
তাহলে
আমি
৩২
নম্বর
ছেড়েও
কোথাও
যাব
না।
” এখন
কী
করি?’
মাত্র কদিন আগে যে কথা শুনলাম, তাতে আমি খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম। তারপর এই পরিস্থিতিতে কী করা যায়, সেটি ভেবেচিন্তে কূলকিনারা পেলাম না। কিছুক্ষণ পর বঙ্গবন্ধুই বললেন, ‘তুমি হাউজিং ডিপার্টমেন্টে ফোন করে বাড়িটা ছেড়ে দিতে বলো।’
আমি তখনো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখে বললেন, ‘এই যে তোমরা সরকারি কর্মচারীরা, তোমাদের কোনো সহকর্মীর চাকরি চলে গেলে কিংবা অবসরে গেলে, তোমরা তাদের খোঁজখবর নাও না? অন্ততপক্ষে বিপদে-আপদে তাদের সাহায্য করো। তেমনি রাজনৈতিক কর্মীরাও যে দলেরই হোক, সহকর্মী। ক্ষমতা থাকলে তাদেরও ভালো-মন্দ আমাদের দেখা উচিত।’
এর কিছুদিন পর আবার একদিন তিনি আমাকে বললেন, ‘ওয়াহিদুজ্জামানের এক ছেলে, কী যেন তার নাম?’ আমি বললাম, ওয়াসিম জামান। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘ওর জন্য দেখো একটা বৃত্তি জোগাড় করা যায় কি না। ওর বাবা লন্ডনে খুব অসুস্থ। দেশে ফিরবেন না। ওয়াসিম বিদেশে গেলে ওর বাবার চিকিৎসা করাতে পারবে।’ এবং সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ওয়াসিম পরবর্তীকালে জাতিসংঘের একটি উচ্চ পদে অনেক দিন চাকরি করার পর অবসরে যান।
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিশ্বস্ততা নিয়ে একবার বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেছিলেন, ‘অনেক নেতা আছেন, আজ এখানে, কাল সেখানে। কিন্তু শেখ মুজিব যাকে একবার বুক দিয়েছে, তাকে আর কখনো পিঠ দেয়নি।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর কিছু স্মৃতিচারণ করলাম। তাঁর অনেক স্মৃতি হয়তো কালের স্রোতে হারিয়ে যাবে। কিন্তু অব্যক্ত অন্তর্বেদনা বাংলার চোখে জল হয়ে ঝরবে চিরদিন।
মনোয়ারুল ইসলাম: সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত গণভবনে উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে জাতিসংঘে চাকরি নিয়ে জেনেভায় চলে যান। বর্তমানে ঢাকায় অবসর জীবন যাপন করছেন।
Discussion about this post