শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজ বুধবার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৩তম জন্মদিন । ১৮৯৯ সালের এই দিনে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক। মা কুসুমকুমারী দাশ সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা লিখতেন। এই মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যচর্চা ও কবিতা লেখার প্রেরণা পান জীবনানন্দ।
জীবনটি কেটেছে চরম দারিদ্র্য ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। পেশা মূলত শিক্ষকতা হলেও কর্মজীবনে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে কোথাও থিতু হতে পারেননি। তিনি অধ্যাপনা করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা ও বেলা অবেলা কালবেলা। তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয় মাল্যবান ও সতীর্থ উপন্যাস।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন কবি জীবনানন্দ। এর ছয় দিন পর স্থানীয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পরলোকগমন করেন তিনি।
নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে পরিবর্ধিত সিগনেট সংস্করণ বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হয়। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
Discussion about this post