► গভীর দৃষ্টিতে দেখুন! বান্দার আবেদন ও প্রয়োজন পূরণের সুসংবাদ শোনার সময় তার আপাদমস্তক দ্বারা আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশিত হওয়া আবশ্যক। রুকু-সিজদা মূলত সেই অবস্থা প্রকাশ করছে।
► যখন আহকামুল হাকিমিনের ঘোষণাপত্র কোরআন পাঠ করা হয় তখন তাঁর হুকুম পালনের জন্য ঝুঁকে পড়া এবং সিজদা করা আবশ্যক, যেটি আনুগত্য ও মান্যতার ওপর প্রমাণ বহন করে। কেননা রাজা-বাদশাহদের পক্ষ থেকে যখন প্রজাদের কাছে ফরমান আসে এবং তা পাঠ করে শোনানো হয় তখন সে ফরমানের প্রতি আনুগত্যের নমুনা সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করতে হয়। সুতরাং রুকু ও সিজদা আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের ওপর প্রমাণস্বরূপ।
► আল্লাহ তাআলার বড়ত্বের খেয়াল করার পর আত্মার অপদস্থতা মনের মাঝে উদয় হওয়া উচিত। দৈহিক জগতে এ অবস্থার স্থলাভিষিক্ত হলো নত হওয়া, ঝুঁকে যাওয়া। ইসলামের পরিভাষায় যাকে বলা হয় রুকু। এর চেয়েও সীমাহীন উচ্চ পর্যায়ের বড়ত্বের বিশ্বাস রাখার পর অন্তরে নিজের অপদস্থতার যে অবস্থা সৃষ্টি হয়, দৈহিক জগতে এর নমুনা হলো নিজের মাথা, চেহারা ও মর্যাদাবান অঙ্গকে মাটিতে রাখা এবং নাককে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিজেকে পুরোপুরি অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করে দেওয়া। ইসলামের পরিভাষায় একে বলা হয় সিজদা।
► নামাজে মানুষকে আল্লাহ তাআলার সামনে দণ্ডায়মান হতে হয়। দণ্ডায়মান হওয়াটিও দরবারের একটি আদব। এটি হলো নামাজের প্রথমাংশ। তারপর রুকু, এটি নামাজের দ্বিতীয়াংশ। এ কথা বোঝানো হচ্ছে যে বান্দা আল্লাহ তাআলার হুকুমকে পালন করতে কী পরিমাণ নত হতে পারে। তারপর সিজদা তৃতীয়াংশ এবং পূর্ণ আদব। পূর্ণ অপদস্থতা ও নিজেকে বিলীন করে দেওয়ার বহিঃপ্রকাশ। এটিই ইবাদতের উদ্দেশ্য। এ পদ্ধতি আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
Discussion about this post