-সফওয়ান আহমদ
নামায একটি অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ
ইবাদত যা আল্লাহ পাক
তার প্রিয় হাবীবকে আরশে
আজীমে দাওয়াত করে হাদিয়া
স্বরুপ দিয়েছেন। রাসুল সা. নবুওয়াত
লাভ করার পর সর্বপ্রথম
নামাযের বিধান নাযিল হয়।
হাশরের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাযের
হিসাব চাওয়া হবে। নামায
হলো সমস্ত সমস্যা সমাধানের
হাতিয়ার। রাসূল সা. কোন
সমস্যায় পড়লে নামাযে দাঁড়িয়ে
যেতেন। অনুরুপভাবে সাহাবায়ে কিরামকেও নামাযে দাঁড়ানোর নির্দেশ
দিতেন। আর কেউ যদি
পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুরুত্ব
সহকারে সময়মত আদায় করে
তাহলে আল্লাহ পাক তাকে
নিজ জিম্মায় বেহেস্তে প্রবেশ করাবেন।
প্রিয় পাঠক পঠিকাবৃন্দ! এত
গুরুত্বপূর্ণ আমল কিভাবে নির্ধারণ
হল, তা অবশ্যই জানা
দরকার। তাই তার বর্ণনা
আপনাদের খেদমতে লেখছি,
ফজর:
হযরত আদম আ. জান্নাত
থেকে বের হওয়ার পর
দীর্ঘ দিন আল্লাহর দরবারে
কন্নাকাটি করেন। অবশেষে ফজরের
সময় আল্লাহ পাক তার
দোআ কবুল করেন। এর
শুকরিয়া আদায় করে আদম
আ. দুই রাকাআত নামায
আদায় করেন।
যোহর:
হযরত ইবরাহীম আ. পর্যায়ক্রমে তারকা
চন্দ্র ও সূর্য দেখার
পর যখন বুঝলেন এগুলো
প্রকৃত রব নয়, যার
আলোচনা কুরআনে বিস্তারিত এসেছে,
তখন তিনি প্রকৃত রবের
পরিচয় অনুধাবন করতে পেরে যোহরের
সময় শুকরিয়া স্বরুপ চার রাকাত
নামায আদায় করেন ।
আছর:
হযরত নূহ আ. (যাকে
দ্বিতীয় আদম বলা হয়)
তার কওমকে খোদাদ্রোহিতার কারণে
মহাপ্লাবন দিয়ে ধবংস করা
হয়। চল্লিশ দিন পর
পানি শুকিয়ে গেলে আসরের
সময় শুকরিয়া স্বরুপ তিনি চার
রাকআত নামায আদায় করেন।
মাগরিব:
হযরত দাউদ আ. এর
দোআ আল্লাহ তাআলা মাগরিবের
পূর্বে কবুল করেন। তাই
শুকরিয়া আদায় করে তিনি
নামায আরম্ভ করলে তিন
রাকাত পড়ার পর কাঁদতে
কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান,
তারপর আর পড়তে পারেননি।
ফলে মাগরিব তিন রাকাত
থেকে যায়।
এশা: এই নামায সর্ব প্রথম আমাদের নবী সা. আদায় করেছেন। অন্য কোন নবী ইতি পূর্বে এশার নামায আদায় করেননি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের রাকাতের সংখ্যা হল মোট ১৭ রাকাত। এই সতের রাকাত হওয়ার হেকমত হলো, মহান আল্লাহ তাআলা রাসুল সা. কে মেরাজের রজনীতে সর্বমোট সতেরটি স্থান ভ্রমন করান, আর উম্মত যেন এই সতেরটি স্থান আধ্যাতিœকভাবে সতের রাকাত নামাযের দ্বারা অতিক্রম করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে তাই সতের নামায ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদেরকে দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায সময় মত জামাতের সহিত পড়ার তাওফিক দান করেন। আমীন
Discussion about this post