একবার ইমাম বুখারী (রহঃ)
জাহাজে উঠেছেন। দীর্ঘ সফরে একজন
মানুষের সাথে আলাপ এবং
হৃদ্যতা। কথাপ্রসঙ্গে তিনি বলে ফেললেন
তাঁর কাছে ১০০০ দিনার
আছে।
পরদিনই লোকটার ভোল পাল্টে
গেল। সে জাহাজের মাঝে
মরাকান্না জুড়ে দিল – “আমার
১০০০ সোনার দিনার কোথায়
গেল? আমার সারা জীবনের
জমানো সম্পদ কে চুরি
করে নিল? এখন আমার
কী হবে”…?
‘জাহাজের কর্তৃপক্ষ ভারী বিপদে পড়ল।
কিন্তু কর্তব্যের খাতিরে সবার সামান
তল্লাশি করা হলো। ইমাম
বুখারীর সামান-ও। নাহ,
কোথাও নেই। লোকটাকে সবাই
আচ্ছামত গালাগালি করল। কত সম্মানী
মানুষের সম্মানহানী। ছিঃ ছিঃ, সবাই
কী মনে করল? লোকটার
দুনিয়া তখন ছোট্ট হয়ে
এতটুকু।
সে জাহাজ থেকে নেমে
ইমাম বুখারীকে বললো,
“আপনি এত বড় মুহাদ্দিস,
মিথ্যা কথা বলেন না,
অথচ আমাকে মিথ্যা বললেন?”
ইমাম বুখারী (রহঃ)বললেন, “আমি
মিথ্যা বলিনি। তুমি যখনই
আমাকে চোরের অপবাদ দেওয়ার
পরিকল্পনা শুরু করেছ তখনই
আমি দিনারের থলি সাগরে ফেলে
দিই। কত দূর-দূরান্ত
থেকে আমি হাদিস সংগ্রহ
করেছি। সারা দুনিয়ার মানুষ
আমার বিশ্বস্ততায় আস্থা রাখে। হাদীসের
প্রচারের প্রয়োজনীয় এই বিশ্বস্ততার দাম
দিনার দিয়ে মাপা যাবে
না।”
“সুবহানআল্লাহ! আজ যে পৃথিবীর
ঘরে ঘরে আল্লাহ তাঁর
কিতাবের পাশাপাশি ইমাম বুখারীর হাদিস
সংকলনকে কবুল করে নিয়েছেন
তার পিছনে পরীক্ষা আছে,
ত্যাগ আছে, বিচক্ষণতা আছে।
এই ঘটনা থেকে আমাদের
জন্য বেশ কিছু শেখার
জিনিসও আছে। আল্লাহ্ তাঁর
কবরকে নুরে পরিপূর্ণ করে
দিন আমিন।।
Discussion about this post