·
একবার হজরত আলী (রাঃ) নিজ ঘরের দরজায় বসে ছিলেন। এমন সময় একটি ভিখারী এল।
হজরত আলী তার সন্তানকে বললেনঃ “যাও ভেতর থেকে তোমার মা ফাতিমার কাছ থেকে একটি দিরহাম নিয়ে এসো।”
ভিতরে যাবার পর হযরত ফাতিমা (রাঃ) খবর পাঠালেন যে, “ঘরে মাত্র চারটি দিরহাম আছে। তাদের ইফতার ও শিশুদের খাবারের জন্য।”
এই কথা শুনে হযরত আলী (রাঃ) বললেন, “তোমার মায়ের দেখি দিরহাম প্রতি ভালবাসা রয়েছে। যাও গিয়ে সবগুলো দিরহাম নিয়ে এসো।”
হজরত ফাতিমা (রাঃ) বললেন, “আমি তো দিতে নিষেধ করিনি। শুধু স্মরণ করিয়ে দিলাম।”
এই বলে তিনি সবগুলো দিরহাম দিয়ে দিলেন ও হযরত আলাী (রাঃ) সবগুলো দিরহাম সদকা করে দিলেন।
একটু পরেই এক ব্যাক্তি একটি উট নিয়ে এল। হযরত আলী (রাঃ) কে ঐ ব্যাক্তি বললোঃ “আমি আমার উটটি বিক্রী করবো। তুমি কি কিনবে?”
হযরত আলী (রাঃ) জবাব দিলেনঃ “কিনতে পারি তবে বাকীতে। আমি এটা বিক্রী করে তোমাকে মূল্য পরিশোধ করবো।”
লোকটি রাজী হয়ে গেল ও দরদাম করে ১৬০ (একশত ষাট) দিরহাম এর মূল্যে উটটি হজরত আলী (রাঃ) কে দিয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পরে আরেক ব্যাক্তি এলো এবং উটটি দেখে হযরত আলী (রাঃ) কে বললোঃ “উটটি কি বিক্রী করবে? আমি কিনতে আগ্রহী।”
হযরত আলী (রাঃ) বললেনঃ “বিক্রী করবো ২০০ (দুইশত) দিরহাম এর বিনিময়ে।”
লোকটি রাজী হয়ে গেল এবং নগদ ২০০ (দুইশত) দিরহাম দিয়ে উটটি কিনে নিয়ে চলে গেল।
হযরত আলী (রাঃ) ১৬০(একশত ষাট) দিরহাম উটের মালিক কে দিয়ে দিলেন এবং ৪০(চল্লিশ) দিরহাম তার সন্তানের হাতে হজরত ফাতিমা (রাঃ) এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
উপদেশঃ “সুবহানআল্লাহ! এটা হলো তাওয়াক্কুল। সদকা করলে আল্লাহর ওয়াদা দুনিয়াতে নগদ ১০ গুণ ও আখিরাতে আরও ৬০ গুন বদলা দিবেন। এই কথায় আমলকারী সাহাবী হযরত আলী (রাঃ) চার দিরহাম সদকা করলেন এবং ৪ এর ১০ গুণ অর্থাৎ ৪০ দিরহাম নগদ দুনিয়াতেই লাভ করলেন। এটাই আল্লাহর ওয়াদা। এর কোন কমবেশি হবেই না। তাই আনরাও ভাবি ও সর্বঅবস্হায় সদকা করি। ওয়ামা তওফিক ইল্লাবিল্লাহ। আমিন।।”
[ফাজায়েলে সাদাকাত কিতাব ]
Discussion about this post