ধর্ম ডেস্ক
পরস্পর বিবাদ কোরো না
আবু বাকরাহ (রা.) থেকে তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণিত, তিনি একবার নবী (সা.)-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘(মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপর উপবেশন করলেন। জনৈক ব্যক্তি তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বলেন, এটা কোন দিন? আমরা চুপ করে রইলাম আর ধারণা করলাম যে অচিরেই তিনি এ দিনটির আলাদা কোনো নাম দেবেন। তিনি বলেন, এটা কি কোরবানির দিন নয়? আমরা বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন মাস? আমরা নীরব রইলাম আর ধারণা করলাম যে অচিরেই তিনি এর আলাদা কোনো নাম দেবেন। তিনি বলেন, এটা কি জিলহজ মাস নয়? আমরা বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি বলেন, তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের সম্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের তোমাদের এ দিন, তোমাদের এ মাস, তোমাদের এ শহর মর্যাদাসম্পন্ন। এখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে এসব কথা পৌঁছে দেয়। কারণ উপস্থিত ব্যক্তি সম্ভবত এমন এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার চেয়ে অধিক আয়ত্তে রাখতে পারবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৭)
হেদায়েতপ্রাপ্তরা উর্বর জমির মতো
আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা আমাকে যে হেদায়েত ও ইলম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হলো পৃথিবীর ওপর পতিত প্রবল বর্ষণের মতো। কোনো কোনো ভূমি থাকে উর্বর, যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। আর কোনো কোনো ভূমি থাকে কঠিন, যা পানি আটকে রাখে। পরে আল্লাহ তাআলা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন। তারা নিজেরা পান করে ও (পশুপালকে) পান করায় এবং তা দ্বারা চাষাবাদ করে। আবার কোনো কোনো জমি রয়েছে, যা একেবারে মসৃণ ও সমতল; তা না পানি আটকে রাখে, আর না কোনো ঘাসপাতা উৎপাদন করে। এটা ওই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত, যে দ্বিনের জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহ তাআলা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাতে সে উপকৃত হয়। ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শেখায়। আর ওই ব্যক্তিরও দৃষ্টান্ত, যে সেদিকে মাথা তুলে দেখে না এবং আল্লাহর যে হেদায়েত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি, তা গ্রহণও করে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৯)
পাপ বেড়ে যাওয়া কিয়ামতের আলামত
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন যে, কিয়ামতের কিছু আলামত হলো ইলম (জ্ঞান) হ্রাস পাবে, অজ্ঞতা প্রসারতা লাভ করবে, মদপানের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যভিচার বিস্তার লাভ করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৮০)
Discussion about this post