আহমাদ রাইদ
আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত নবুয়তের ধারাবাহিকতায় অসংখ্য ও অগণিত নবী-রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন। নবী-রাসুলদের সংখ্যা আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ জানেন না। প্রত্যেক উম্মতের জন্য নবী-রাসুল পাঠানো হয়েছে। কোনো উম্মত নবী-রাসুল ছাড়া ছিল না। তবে নবী-রাসুলদের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে। আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, আমি একদা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নবী-রাসুলদের সংখ্যা কত? তিনি জবাবে বলেন, নবী হলেন এক লাখ চব্বিশ হাজার, আর রাসুল হলেন ৩১৩ জন।’ (কুরতুবি, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৫)
ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনার আলোকে প্রতীয়মান হয়, নবী-রাসুলদের সঠিক সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। পবিত্র কোরআন মজিদে মাত্র ২৫ জন নবী-রাসুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নবী-রাসুলরা হলেন পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি। পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার মিশন বাস্তবায়ন করাই নবী-রাসুলদের কাজ। নবী-রাসুলদের আনুগত্য মূলত আল্লাহরই আনুগত্য। নবী-রাসুলদের প্রধান কাজ হলো সত্য ও ন্যায়ের দিকে আহ্বান। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘বলুন! এটাই আমার পথ। আমি (মানুষকে) আল্লাহর দিকে ডাকব।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৮)
পৃথিবী আল্লাহর, ফলে পৃথিবীতে আইন চলবে একমাত্র আল্লাহর। এ লক্ষ্যে নবী-রাসুলরা কাজ করেছেন। আর এ পথে তাঁরা আজীবন পরিশ্রম করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তিনি ওই সত্তা, যিনি তাঁর রাসুলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বিন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে সব বাতিল ধর্মের ওপর ইসলামকে বিজয়ী করতে পারে।’ (সুরা : সফ, আয়াত : ৯)
আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুলদের জান্নাতের সুখ-শান্তির সুসংবাদদাতা এবং জাহান্নামের কঠিন আজাবের ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘সত্যসহ আপনাকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৪)
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে তাঁর ইবাদত করার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। যেমন আল্লাহর বাণী—‘আল্লাহর ইবাদত করার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রাসুল পাঠিয়েছি।’
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬)
Discussion about this post