সেরাতুল মুস্তাকীম ডেস্ক
ছোট্ট একটি শর্ত। যা মানলেই মহান আল্লাহ তাআলা গুনাহকারীদের ক্ষমা করে দেবেন। সেই ছোট্ট শর্তটি কী? হাদিসে কুদসির বর্ণনায় এ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
শিরক মুক্তি ঈমান। সবচেয়ে দামি জিনিস। এ ঈমানের অধিকারী ব্যক্তি যত বড় গুনাহগারই হোক মহান আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেবেন। হাদিসে কুদসির বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি আমার যতটুকুই ইবাদত করো এবং ভালো আশা করো যদি তুমি আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করো তবে তোমার আমল যা-ই হোক না কেন আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো। তুমি যদি আসমান ও জমিন ভর্তি অপরাধ এবং গুনাহ নিয়ে আমার সামনে উপস্থিত হও তবে আমিও আসমান ও জমিন ভর্তি ক্ষমা নিয়ে তোমার সামনে উপস্থিত হবো এবং আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো; এতে আমি কাউকে পরোয়া করি না।’ (হাদিসে কুদসি)
অন্য বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস করলো যে, আমি গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা রাখি এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক স্থাপন করলো না, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব; এ ক্ষেত্রে আমি কারও পরোয়া করবো না।’ (হাদিসে কুদসি)
মনে রাখা জরুরি
শিরকমুক্ত ঈমান ও আমলের গুরুত্ব পরকালের মুক্তির জন্য খুবই জরুরি। ঈমান ও আমলের কোথাও সামান্য পরিমাণ শিরক মিশ্রিত থাকলেও মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহর ঘোষণা এটি। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার (শিরক) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে কেউ আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন (শিরক) করে, সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ছোট হোক আর বড়; কোনোভাবেই শিরকের মতো ভয়াবহ গুনাহ থেকে বিরত থাকা। নিজেদের আমল ঠিক করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Discussion about this post