ইজাজুল হক
হিজরি সনের নবম মাস রমজান। এ মাসের ফজিলত, মর্যাদা ও গুরুত্ব অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। মহিমান্বিত রমজান মুমিনের ইবাদতের সেরা মৌসুম। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের অনুশীলন, বাস্তবজীবনে পবিত্র কোরআনের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটানো এবং আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের মাধ্যমে ইহকাল-পরকালের সাফল্য অর্জনই এ মাসে মুমিনের লক্ষ্য হওয়া চাই।
ইসলামের দৃষ্টিতে রমজান বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসে মানবজাতির হেদায়েতের আলোকবর্তিকা মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস—এ মাসে মানবতার পথপ্রদর্শক, সৎ পথ প্রাপ্তির স্পষ্ট বিবরণ এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী হিসেবে কোরআন নাজিল করা হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
শবে কদর এ মাসের মহিমাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ মাসের কদরের রাতেই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং এ পবিত্র রজনীকে আল্লাহ তাআলা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম আখ্যা দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই তা আমি লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। লাইলাতুল কদর কী—আপনি জানেন? লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
এ ছাড়া ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা রমজানেই মাসব্যাপী পালিত হয়। রোজা আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যম। এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতের পথগুলো খুলে দেওয়া হয়। মানবতার চরম শত্রু শয়তানকে এ মাসে শিকলবন্দী করে রাখা হয়। সিয়াম সাধনার প্রতিদান আল্লাহ তাআলা নিজ হাতেই দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। তাই রমজান মাস ইসলামের আলোকে জীবন রাঙানোর সুবর্ণ সময়।
Discussion about this post