মুফতি আবু দারদা
জুমার দিনের অন্যতম আমল সুরা কাহফ তিলাওয়াত। এটি পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। এই সুরায় আল্লাহ তাআলা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় ঘটনা বয়ান করেছেন। প্রথমত, অত্যাচারী শাসকের থাবা থেকে ইমান-আমল বাঁচাতে একদল যুবক গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, কোরআনের ভাষায় যাঁদের আসহাবে কাহফ বা গুহাবাসী বলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হজরত খিজির (আ.)-এর কাছে হজরত মুসা (আ.)-এর জ্ঞান আহরণ করতে যাওয়ার গল্প বিবৃত হয়েছে। তৃতীয়ত, বাদশাহ জুলকারনাইন কর্তৃক জনগণকে ইয়াজুজ-মাজুজ নামক এক অত্যাচারী জাতির হাত থেকে বাঁচানোর কথা এসেছে। এসব কারণে এই সুরা তিলাওয়াত করা এবং বোঝা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
হাদিসে সুরা কাহফ তিলাওয়াতের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার পায়ের নিচ থেকে আসমান পর্যন্ত আলো প্রজ্বলিত হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য তা উজ্জ্বল হবে। আর দুই জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (ইবনে কাসির)
এক সাহাবি সুরা কাহফ তিলাওয়াত করলে একখণ্ড মেঘ তাঁকে আবৃত করে। বিষয়টি মহানবী (সা.)-কে জানালে তিনি বলেন, ‘হে অমুক, তুমি সুরাটি তিলাওয়াত করো। কারণ এটি (মেঘ) আল্লাহর রহমত, যা কোরআন তিলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসলিম)
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
Discussion about this post