অনলাইন ডেস্ক
অল্প খরচে পানির ময়লা এবং ব্যাক্টেরিয়া কমানোর প্রযুক্তি দিয়ে ‘স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ ২০২০’ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জয়ীরা হলেন- মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী আদিত্য কুমার চৌধুরী এবং ইফতেখার খালেদ। তারা পানি বিশুদ্ধকরণে ওলিফেরা (সজনে বীজ) মিশিয়ে বিশুদ্ধকরণ পাউডার তৈরি করে এই জয় পেয়েছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ভার্চুয়াল আয়োজনে ২৫ অগাস্ট ঘোষণা করা হয় ‘স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ ২০২০’ এর চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নাম। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাপান এবং ‘ডিপ্লোমা অফ এক্সিলেন্স’ বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বের ২৯টি দেশের প্রতিনিধিদল এবারের প্রতিযোগিতায় ‘ধারণা’ জমা দিয়েছিল। তার মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল বাংলাদেশসহ সেরা ১২টি দল। সেরাদের যুদ্ধে বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন আদিত্য ও খালেদের উদ্ভাবন।
১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছরের অগাস্টে বিশ্ব পানি সপ্তাহে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত হয় জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণরা অংশগ্রহণ করে এতে। অন্যান্য বছর সুইডেনের স্টকহোমে সরাসরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও, এবারের প্রতিযোগিতা কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে অনলাইনেই আয়োজিত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণদের পাঠাতে ২০১৫ থেকেই বংলাদেশে আয়োজিত হচ্ছিল ‘বাংলাদেশ স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ’। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ষষ্ঠ বারের মতো আয়োজিত হয় ‘বাংলাদেশ স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ ২০২০’।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আদিত্য-ইফতেখার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লড়াইয়ের সুযোগ অর্জন করে বলে জানিয়েছে প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের আয়োজক ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’।
এর আগে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘ডিপ্লোমা অফ এক্সেলেন্স’ অর্জন করেছিল বাংলাদেশ দল। এ বছর সেই পথচলায় যোগ হলো আরও একটি অর্জন। মূল আয়োজক ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে এতে সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিলো ‘ওয়াটার এইড বাংলাদেশ’ এবং কারিগরি অংশীদার ছিল ‘এসটেক্স’।
Discussion about this post