বিশেষ প্রতিবেদক
১৬ বছর বয়সী বরগুনার এম.এ মুন্ঈম সাগর আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০২০ এর চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে । ৪২টি দেশের ৪২ জন শিশুর মধ্যে এ তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি মুনঈম সাগর।
সামাজিক উন্নয়ন, সমাজের পরিবর্তন, শিশু অধিকার, দারিদ্রতা দূরীকরণ এবং ক্ষুধা নিবারণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেবে নেদারল্যান্ডের কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা।
প্রাথমিকভাবে ১৮৬টি দেশের পাঁচ শতাধিক শিশু কিশোরকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বাছাই করে মনোনীত করা হয় ৮৬ জনকে। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ৪২ জনকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সেখান থেকে একক কিংবা যৌথভাবে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। এ পুরস্কার ঘোষণার জন্য অনলাইনে ভোট গ্রহণও শুরু করেছে সংস্থাটি।
তাই এম.এ মুনঈম সাগরকে ভোট দিতে চাইলে #ChildrensPeacePrize লিখে https://kidsrights.org/persons/munim এ শুধুমাত্র পোস্ট করতে হবে। এক একটি পোস্টের জন্য মুনঈম সাগরের পক্ষে একটি করে ভোট জমা হবে। এদিকে মুনঈম সাগরের পক্ষে প্রচারণার মাধ্যমে ভোট সংগ্রহের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বরগুনা প্রেসক্লাব।
মুনঈম সাগর বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোডের মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম শাহ্ মো. হুমায়ুন সগির এবং মায়ের নাম মনিরা বেগম। তার বাবা-মা উভয়ই সরকারি চাকরিজীবী। বরগুনা জিলা স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মুনঈম সাগর বর্তমানে অধ্যায়নরত আছেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণিতে।
এর আগে, মুনঈম তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ জাপান সরকারের ‘সেভেন মিতসুবিসি জাপান এএনআইকেকেআই ফেস্ট বেস্ট ক্রিয়েটিভ অ্যায়ার্ড-জাপান সরকার ২০১৩’ এবং বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সেরা সমাজকর্মী-২০১৭, বেস্ট স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৭, জাতীয় সেরা স্কাউট মোটিভেটর অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ পুরস্কারের মতো ১৫টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
মুনঈম সাগরের বাবা শাহ্ হুমায়ুন সগির বলেন, ছোটবেলা থেকেই মুনঈম মানুষের প্রতি দরদী ছিল। অসহায় শিশুদের দেখলে তাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যেত। এখনও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে জন্য মনোনীত হয়েছে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন- যাতে আমার ছেলে বিজয়ী হতে পারে।
এ বিষয়ে মুনঈম সাগর বলেন, কঠিন পরিশ্রম আর সবার সহযোগিতা এবং ভালবাসায় আজ এ পর্যায়ে এসেছি আমি। এই পুরস্কারের জন্য আপনাদের প্রার্থনা আর একটি ভোট আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করতে পারে। তাই একটি পোস্টের মাধ্যমে আমাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করছি সবাইকে।
Discussion about this post