কামরুজ্জামান আল হাদি। একটি নাম। একটি প্রতিভা। মাদরাসা ছাত্র হয়েও তিনি ঝড় তুুললেন সারা দেশে। তাক লাগিয়ে দিলেন অনেক নামীদামি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। তিনি তৈরি করলেন মিনি কম্পিউটার। কেবল নেত্রকোনা নয়, জেলার গন্ডি পেড়িয়ে দেশ বিদেশে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুুতে পরিণত হলেন। উজ্জ্বল করলেন মা-বাবা ও শিক্ষকদের মুখ।
তার মেধার প্রশংসা করেছেন এলাকার শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। তিনি নেত্রকোনার মাদরাসার ছাত্র হাদী। মিনি কম্পিউটার তৈরি করে সারা দেশে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র কামরুজ্জামান আল হাদি। তার এ প্রতিভা দেখে এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়েছে। মাদরাসার ছাত্রের এমন আবিষ্কার দেখে সবাই এখন প্রশংসা করছে তার মেধা ও মননশীলতার।
সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছে শক্তি ও বাবার অনুপ্রেরণায় তার এ আবিষ্কার সম্পন্ন করতে পেরেছেন। নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র কামরুজ্জামান আল হাদি। বাসার কম্পিউটারে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সে নিজেই তা মেরামত করার কাজ করত। এ থেকেই তার মাথায় আসে কম্পিউটার তৈরির চিন্তা।
জানা গেছে, ওই ছাত্র প্রাথমিকভাবে মোবাইলের মনিটর ব্যবহার করে। সেই সাথে টিন দিয়ে সিপিইউর বক্স তৈরি করে। পরে মোবাইলের মাদারবোর্ড ব্যবহার করে সিপিইউর পূর্ণাঙ্গ সেটাপ সম্পন্ন করে তরুণ এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। হাতে লিখা অক্ষর প্রতিস্থাপন করে তৈরি করে কী-বোর্ড। সিডির চাকা ও টিনের আবরণের মধ্যে তার সংযুক্ত করে মাউস তৈরি করে সে।
এছাড়াও তার এই মিনি কম্পিউটারের সিপিইউ থেকে একটি সাউন্ডবক্সের সংযোগ দেয়া হয়। মোবাইলের বেটারির মাধ্যমেই চলে তার এ মিনি কম্পিউটারের অডিও, ভিডিও, এমএস ওয়ার্ড ও ইন্টারনেট প্রোগ্রাম। ছোট আকারের এ কম্পিউটার তৈরিতে তার খরচ হয়েছে ২০০০ টাকা। গত ৬ মাস ধরে চিন্তার ফসল হলো তার এ কম্পিউটার।
হাদির বাবা সাইদুর রহমান জানান, প্রথমে তারা বিরক্ত হলেও পরে ছেলের অদম্য ইচ্ছার প্রতি সমর্থন জানান এবং তার যাবতীয় খরচ বহন করেন।
এ ব্যাপারে হাদির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মো. মঞ্জুরুল হক খান জানান, উপজেলা থেকে জেলাপর্যায়ে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে হাদি আমাদের সুনাম কুড়িয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল হাসান বলেন, আমরাই তাকে উপজেলা থেকে জেলাপর্যায়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। তার পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
Discussion about this post