শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নাটোরের মেয়ে সুমাইয়া নাসরিন শামা। তার এই সাফল্যে বাবা-মাসহ এলাকাবাসীর মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।
ফল পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত সুমাইয়া বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম যাতে থাকে। কিন্তু প্রথম হবো ধারণা ছিল না। ফলাফলে আমি অত্যন্ত খুশি। সেই সঙ্গে ভালো ফলাফলে যে দায়িত্ব বেড়ে গেলো, তা বাস্তবায়ন নিয়ে এখন মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘সময় বলে দেবে কী করতে হবে। তবে যেহেতু বিচারকের লাইনে এলাম, তাই সবসময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো।’
সুমাইয়া বলেন, ‘ভালো ফলাফলে নিয়মিত পড়ালেখার বিকল্প নেই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়েও ধারণা থাকতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার সহকারী জজ নিয়োগের জন্য নেওয়া বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মনোনীত ১০২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সুমাইয়া।
সুমাইয়ার বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল মহল্লায়। তার বাবা জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (অব.) প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। মা নাজনীন খাতুন বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
আবুল কালাম আজাদ ও মা নাজনীন খাতুন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের মেয়ে সব চাপের ঊর্ধ্বে থেকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।’
সুমাইয়ার শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় আরএন কিন্ডারগার্টেনে। এরপর লক্ষ্মীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে জেএসসিতে জিপিএ-৫ এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান।
একই স্কুল থেকে ২০১৩ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১৫ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন সুমাইয়া। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ২০২১ সালে তিনি স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। তিনি মাস্টার্সে (এলএলএম) অধ্যয়নরত।
Discussion about this post