শিক্ষার আলো ডেস্ক
সুনামগঞ্জের বানভাসিদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৩১০টি পরিবার ও ১৩৭ জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ ও শিক্ষাসামগ্রী উপহার দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১৬, ১৭ ও ১৮ জুলাই সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলার ১১টি স্পটে এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, দোয়ারাবাজার উপজেলা ও দিরাই উপজেলার এসব পরিবার ও এ শিক্ষার্থীদের (এসএসসি ও এইচএসসি) নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
এর আগে, ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাড়িয়ে অর্থ সংগ্রহ করাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম। ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করেন ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মাহি।
অধ্যাপক খোরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম এ বন্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া আমাকে অভিভূত করেছে। শিক্ষার্থীরা তিন সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন শপিংমল ও পাবলিক প্লেসে জড়ো হয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। ঈদের ছুটি বাতিল করে দুর্গতদের মাঝে ছুটে গেছে ত্রাণ বিতরণ করতে। সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিন দিন ধরে ত্রাণ বিতরণ করেছে দুস্থ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্ষার্থীদের এ তৎপরতা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। কিছুদিন আগে আমাদের বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকা পড়েন এবং সেখানের মানুষের কষ্ট খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। এরপর বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ নেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশাপাশি আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। তিনটি উপজেলার ১২টি স্কুলের ১৩৭ জন পরীক্ষার্থীকে আমরা নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।
Discussion about this post