শিক্ষার আলো ডেস্ক
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ৭১ তম আইএফএমএসএ সাধারণ পরিষদের স্কোরা অ্যাক্টিভিটি ফেয়ারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশি ইভেন্ট ‘কিন্নর কাহন’। এ বছর ১ থেকে ৭ই আগস্ট পর্যন্ত এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে গত বছর ১২ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের সচেতনতা সপ্তাহ উদ্যাপনের জন্য, স্কোরা, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস) এবং বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় ‘কিন্নর কাহন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই ইভেন্টে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা বাস্তব জীবনে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা নিয়ে খোলামেলা কথোপকথন, স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য পরামর্শকদের সাথে ‘জেন্ডার অ্যান্ড সেক্স’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে বিষদ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যা তাদের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের একটি রোডম্যাপ প্রসারিত করেছে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ইন্টারসেকশনাল আইএফএমএসএ সাইড ইভেন্টে উপস্থাপনার জন্য ‘কিন্নর কাহন’ নির্বাচিত হয়। এ ছাড়া বিএমএসএসের আরেকটি ইভেন্ট ‘মিশন হেপাটাইটিস ফ্রি ফিউচার’ তুরস্কের এসসিওপিএইচ অ্যাক্টিভিটি ফেয়ারে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানটিতে সামাজিক সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস নির্মূল করার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে হেপাটাইটিস নির্ণয়ের জন্য প্রশিক্ষণ ভিত্তিক পূর্ণ ও বাস্তব কৌশল তৈরির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছাপ রেখে যেতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএমএসএ) হলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিশ্বের বৃহত্তম স্বাধীন সংস্থা যা আন্তর্জাতিকভাবে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমানে এর ১৩৩ টির বেশি দেশ এবং অঞ্চল থেকে ১৪০টি জাতীয় সদস্য সংস্থা রয়েছে যেখানে বিশ্বব্যাপী এক মিলিয়নেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করে। আইএফএমএসএ হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একমাত্র ছাত্র শাখা। বিএমএসএস বাংলাদেশে আইএফএমএসএ-এর একমাত্র জাতীয় সদস্য সংগঠন।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাগুলো বিশ্বজুড়ে যুব-নেতৃত্বাধীন বৃহত্তম ইভেন্টগুলোর মধ্যে একটি। বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়-একবার মার্চে, একবার আগস্টে। সেখানে ১০০টি দেশ থেকে ৮০০ জনেরও বেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
Discussion about this post