অনলাইন ডেস্ক
কিট পাঠানোর পরে এবার বাংলাদেশে ৩০৮টি কেএন-৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছেন চীনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত জয়পুরহাটের সেই তরুণ মিজানুর রহমান সরকার।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে মিজানুরের দুজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেনের হাতে কিছু মাস্ক তুলে দেন।
পরে দিন ভর জয়পুরহাটের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের মধ্যে মাস্কগুলো বিতরণ করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, জয়পুরহাটের তরুণ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি কিছু মাস্ক কিনে পাঠিয়েছেন। আমাকে আটটি মাস্ক দিয়েছেন।
এর আগে ২৫ মার্চ মিজানুর রহমান তার বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার জন্য ১০০টি কীট পাঠিয়েছিলেন।
মিজানুর জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকার পাড়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। তিনি চীনের নানতং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
সর্বশেষ মিজানুর রহমান গত ১৫ এপ্রিল তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘যদি করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করি, তাহলে আমার জানা মতে, জয়পুরহাটে এ সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছেন সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবক ভাইয়েরা। আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস নেই। তারপরও আপনারা জয়পুরহাটের মানুষের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে চীন থেকে মাস্ক উপহার পাঠানোর চিন্তা করছি।’
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান জানান, ফেসবুকে মতামত পাওয়ার পর ৩০৮টি মাস্ক কিনে উপহার হিসেবে জয়পুরহাটে পাঠিয়েছি। মাস্কগুলো আমার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে জয়পুরহাটের চিকিৎসক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ইউএনও এবং পুলিশের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে মিজানুর রহমানের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল আলীম মণ্ডল ও আ স ম তিতাস মোস্তফা বলেন, মিজানুর রহমান বৃত্তির টাকা থেকে যে মাস্ক কিনে পাঠিয়েছেন, সেগুলো আমরা বিতরণ করছি।
Discussion about this post