শিক্ষার আলো ডেস্ক
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আফতাবনগর খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন,আদর্শিক মূল্যবোধ, দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষ হতে হবে।গ্র্যাজুয়েটরা কর্মসংস্থানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সুযোগ সুবিধা যেন পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা যাতে কর্মমুখী হতে পারে সেজন্য অনেকগুলো ক্ষেত্রে স্ট্রাকচারাল পরিবর্তন আমরা আনার চেষ্টা করছি।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। সমাবর্তনে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২ হাজার ৮৬১ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী ৪ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণ পদক।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সুশিক্ষাই উন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থার মূল কারণ। আর যোগ্য শিক্ষকগণই এটা নিশ্চিত করতে পারবেন। স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার এবং এর বাস্তবায়নে দরকার আমাদের আদর্শে, বিশ্বাসে ও চর্চায় গঠনমূলক পরিবর্তন।
এছাড়াও, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন দেওয়ার সময় এসেছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জার্মানির কিউন লজিস্টিকস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যালান ম্যাককিনন। তিনি সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যে সাপ্লাই চেইনের বিষয়ভিত্তিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এই বিষয়ে নবীন গ্র্যাজুয়েটদের সম্ভাবনাময় কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করেন। অধ্যাপক ম্যাককিনন জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চলমান ঝুঁকির সামনের সারিতে থাকা বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোর পরিবেশকেন্দ্রিক সমস্যা ও সংকট মোকাবিলার জন্যে সাপ্লাই চেইন বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা রাখে এমন যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা উচিত বলে মত দেন। সেইসঙ্গে তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উৎসাহিত করেন তারা যেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হয়ে তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, আজকের বিশ্বে কাজ করতে সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তা, উদ্ভাবনী ক্ষমতার মতো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাই, পরিবর্তিত প্রয়োজনীয়তার সাথে চলতে নিজেকে আপডেট রাখা, পাশাপাশি দেশ ও সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের দিকেও নজর দিতে গ্রাজুয়েটদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান বলেন, আমরা শিক্ষা ও গবেষণার মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি। আমরা ইন্ড্রাস্টি যে ধরনের গ্র্যাজুয়েট চায় সে ধরনের শিক্ষাক্রম চালু করেছি। পাশাপাশি, গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া নতুন জ্ঞানও শিক্ষা ক্রমে যুক্ত করছি।
আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাঁদের অভিভাবকরা অংশ নেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post