অনলাইন ডেস্ক
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জন হলো।
শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল নুর (এনডিসি, ঢাকা) আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাতে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান তিনি। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫ জনে। এছাড়া শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর চলমান রয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার পর লাগা এ আগুন ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতে বেইলি রোডের একটি ভবনের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার পর আতঙ্কিত হয়ে নামার সময় অনেকে আহত হন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পৌঁছে যায় অগ্নিকাণ্ডের খবর। আহত অনেকে আসতে পারেন, এ কারণে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে আগে থেকেই চিকিৎসকরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। এরই মধ্যে রাত সাড়ে ১১টা থেকে আসতে থাকেন আহতরা। চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে থাকেন। এরই মধ্যে অচেতন অবস্থায় একে একে আনা হয় অনেককে। তাদের আনা হয় ফায়ার সার্ভিসের একটি বড় কার্গোতে করে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একে একে মৃত ঘোষণা করতে থাকেন। একপর্যায়ে লাশের মিছিলে পরিণত হয় জরুরি বিভাগ।
অন্যদিকে রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের বলেন, দুই হাসপাতাল মিলে মোট ৪৪ জন বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন আর ঢাকা মেডিকেলে ৩৪ জন মারা গেছেন।
আরো পড়ুন-রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে অপর একটি সূত্র জানায়, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসকরা যাদের মৃত ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রায় সবাই হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার পর তাদের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে মৃতদের মধ্যে দুজনের শরীর পুরোপুরি দগ্ধ হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন মারা গেছেন। তাদের কেউ দগ্ধ কি না জানা যায়নি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস বলছে, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
Discussion about this post