অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস এতটাই ছোঁয়াচে যে এটা থেকে বাঁচতে বাইরে বের হবার সময় যেমন সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন তেমনি ঘর এবং এর আশপাশও পরিষ্কার রাখা জরুরি। তাই ভাইরাসটি নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। ঘর থেকে বেরোনোর আগে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং ফেরার পর জামা কাপড় পরিবর্তন করে তা ধুয়ে ফেলছেন সবাই। পাশাপাশি লিফট ব্যবহার করাও এড়িয়ে চলছেন। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে লিফটের বোতাম থেকেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি তার আঙুল দিয়ে লিফটের বোতাম প্রেস করেন তাহলে তার শরীরে থাকা ভাইরাস বোতামের গায়ে থেকে যায়। তারপরে যদি কোনও সুস্থ ব্যক্তি সেই বোতাম প্রেস করেন তাহলে ভাইরাসটি তার শরীরে ঢুকে যায়। এভাবেই লিফট থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
লিফট থেকে সংক্রমণ এড়াতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. লিফটে ঢোকার আগে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরে থাকবেন।
২. লিফটের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়াবেন না।
৩. লিফটের বোতাম টেপার ক্ষেত্রে আঙুলের পরিবর্তে টুথপিক, ইয়ারবাড বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।
৪. যে জিনিসটি বোতাম টেপার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন সেটা যাতে আপনার শরীরের কোনও অংশে না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৫. ব্যবহৃত জিনিসটি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
৬. হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন অথবা স্যানিটাইজার লাগান।
লিফট ব্যবহারের পাশাপাশি সিঁড়ি ব্যবহারেও কিছু নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিঁড়ির রেলিংগুলি আপনার দ্বারা কোনওভাবে যেন স্পর্শ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ, কোনও কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আগে রেলিং স্পর্শ করে থাকেন তাহলে আপনিও সংক্রামিত হতে পারেন। তবে অসাবধানতাবশত রেলিং স্পর্শ করলে অন্য কোথাও স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
Discussion about this post