শিক্ষার আলো ডেস্ক
শ্রেণিকক্ষে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানকে ৫ বছরের জন্য অব্যাহতি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ওই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি অ্যাকাডেমিক সভা আহ্বান করি। সেখানে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানকে আগামী ৫ বছরের জন্য সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠাব। বিভাগের শিক্ষার্থীদেরও আমরা ডেকেছি, তারা মেনে নিয়েছে। আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে চলবে।
এর আগে, সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানালে ওইদিন বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুদিনের আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন করেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: রমজানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন ও প্রাথমিক ১০ দিন খোলা থাকবে
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শিক্ষকদের অভিভাবকের মতো দেখি। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষক আছে যাদের নাম নিতেও ঘৃণা লাগে। তিনি আমাদের সহপাঠীদের রাতের আঁধারে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথা বলেন ও ছবি চান।
ভুক্তভোগী ছাত্রী তার দেয়া পোস্টে অভিযোগ করে লিখেছিলেন,নেকাব খুলতে বাধ্য করা, পর্দাশীল মেয়েদের হেনস্তা করা, ‘মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্যাকেট হয়ে এসেছ’- বলে কটাক্ষ করা, ট্যুরের নাম দিয়ে নিয়ে গিয়ে বাংলা-হিন্দি গানে নিজে নাচা ও ছাত্রীদের নাচানো, এসব কিছু এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা কীভাবে করে?
এই শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বলছি তোমরা এক হও। এ সকল বেয়াদব শিক্ষকদের সকল ইয়ারে ক্লাস থেকে বিরত রাখার দাবি জানাচ্ছি। চেয়ারম্যান স্যার এবং ডিন স্যারের কাছে এর একটা সুষ্ঠু ফয়সালা কামনা করছি।
Discussion about this post