খেলাধূলা ডেস্ক
চট্টগ্রামে শান্তর অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরি ও মুশফিকের হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩২ বল হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে স্বাগতিক টাইগাররা।
বুধবার (১৩ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও জেনিথ লিয়ানাগের ফিফটিতে ৪৮ ওভার ৫ বলে ২৫৫ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব নেন ৩টি করে উইকেট।
২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। সর্বশেষ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিং করা সৌম্য সরকারের পার্টনার হিসেবে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। এবার এনামুলের জায়গায় ওপেন করার সুযোগ পান লিটন দাস। কিন্তু দিলশান মাদুশাঙ্কার অফস্ট্যাম্পের প্রথম বলটি টেনে স্ট্যাম্পে নিয়ে এসে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ৬ষ্ঠ বারের মতো গোল্ডেন ডাকের রেকর্ড গড়ে লিটন আউট হয়েছেন।
এরপর সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়ও দ্রুত আউট হয়েছেন। তিন রান করে ফিরেছেন দুইজনই। তাতে ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখানে থেকে মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত মিলে দলের হাল ধরেন। রোজা রেখে মাহমুদউল্লাহ ভালোই খেলছিলেন। দারুণ ফিল্ডিংও করেছেন তিনি। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্র্যাম্প করেছেন; হয়তো পানিশূন্যতার কারণেই। এই অবস্থায় সম্ভাবনাময় ইনিংসটি বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি। লাহিরু কুমারার বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
মুশফিক যখন ক্রিজে নামেন বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৯২। অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে শুরু হয় উইকেট কিপার এই ব্যাটারের লড়াই। পঞ্চম উইকেটে দু’জন মিলে অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। ৫২ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান শান্ত। পরের পঞ্চাশ তুলতে খেলেছেন ৫৬ বল। লাহিরু কুমারাকে কভার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি বাউন্ডারি মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারেও পৌঁছান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরিটির দেখা এদিন পেয়ে যান তিনি। বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে তিন ফরম্যাটেই এর আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বছরের জন্য অধিনায়ক করা হয় শান্তকে। ভীষণ চাপ, স্কোরবোর্ডে রান ঠিকঠাক রাখার লড়াই, উইকেটে টিকে থাকা ও জুটি গড়ার প্রয়োজন; সবকিছু ভালোভাবে সামলেই এই শতক পেলেন তিনি। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৪৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে জুনিয়র সাকিব দলের সেরা বোলার। এছাড়া শরিফুল ও তাসকিন প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
Discussion about this post