শিক্ষার আলো ডেস্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ (৫) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১১(১০) মোতাবেক আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
একই আইনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, সদস্য হিসেবে আছেন সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আবুল হোসেন, কলা অনুষদের ডিন ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। এছাড়া এতে সদস্য সচিব আছেন আইন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাশ।
গতকাল (শুক্রবার, ১৫ মার্চ) রাতে আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (১৩তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন।
অন্যদিকে শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের আশ্বাসের পর ক্যাম্পাস ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন উপাচার্য। এ সময় উপাচার্য জানান, অবন্তিকা উপাচার্য বরাবর যে অভিযোগ দেওয়ার কথা ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, সেই অভিযোগপত্র তাকে (ভিসি) দেওয়া হয়নি।
উপাচার্য বলেন, ‘ফাইরুজ যে রিপোর্টের (অভিযোগপত্র) কথা বলেছে, সেটা আমাকে দেওয়া হয়নি। সে বলেছে— তাকে হিউমিলিয়েটেড করা হয়েছে। সেই কমপ্লেইনের রেকর্ড আমাকে দেওয়া হয়নি। সেই সহকারী প্রক্টরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। তদন্ত রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজে যুক্ত হতে পারবেন না।’
Discussion about this post