শিক্ষার আলো ডেস্ক
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জীবন পোদ্দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফলাফল জানানো হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেধাতালিকা ও পছন্দক্রম অনুসারে প্রার্থীদের বিভাগ বণ্টনও প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ মার্চ থেকে ভর্তি—কার্যক্রম শুরু হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ক’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য ২৭ ও ২৮ মার্চ দলিলাদি মূল্যায়ন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। বুয়েটের পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাসের ইসিই ভবনের লেভেল—৮—এ ভর্তি অফিসে শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে উপস্থিত হতে হবে।
অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাসের ইসিই ভবনের লেভেল—৮—এর ভর্তি অফিসে হাজির হতে হবে।
আরও পড়ুন: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা তিন ধাপে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে তথ্য পূরণ করবেন। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির ফি দেবেন। এ বছর প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ভর্তি ফি ৭ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থাপত্য বিভাগের ভর্তি ফি ৭ হাজার ২০০ টাকা। তৃতীয় ধাপে মূল সনদ, স্বাস্থ্য, পরীক্ষার প্রতিবেদন ও ভর্তি ফির রসিদ জমা দেওয়া সাপেক্ষে ভর্তি নিশ্চিত করবেন। ২৭ মার্চ স্থাপত্য বিভাগে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সনদ ও দলিলপত্র যাচাই এবং জমা দেওয়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র গ্রহণ এবং ভর্তি ফি দেওয়া সাপেক্ষে ভর্তি নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২৭ ও ২৮ মার্চ একই প্রক্রিয়ায় ভর্তি নিশ্চিত করবেন।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভর্তি ফি পরিশোধ এবং মূল সনদ জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না হলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
বুয়েটের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ অন্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ মিলিয়ে তিনটি (কোনো বিভাগে একটি আসনের বেশি নয়) এবং স্থাপত্য বিভাগের জন্য একটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট ১ হাজার ৩০৯টি আসন রয়েছে।
Discussion about this post