নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস ও বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও বিশেষ দেয়ালিকা প্রকাশ করেছে নগরীর পূর্ণাংগ ডিজিটাল স্কুল খ্যাত সাউথ এশিয়ান স্কুল । এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে মহান এই জননেতার শৈশবকাল থেকে শুরু করে তাঁর সংগ্রামী জীবনের নানা ধাপ এর উপর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লিখে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা।
প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম । এছাড়াও সকল শ্রেণির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার শুরুতে জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পবিত্র কোরআন ও দোয়া পাঠ করা হয়। স্বাগত বক্তব্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সালেহউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর গোলামী থেকে আমাদের জাতিকে মুক্ত করেছেন। তাই এই মহান নেতার প্রতি এই জাতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
প্রধান অতিথি আনজুমান আরা বেগম বলেন, আজকের শিশুই আগামী দিনের সক্ষম নাগরিক। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন তিনি।তার জন্মদিনে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। তাই তাঁর জীবনী অনুসরণ করে তোমাদেরও ছোটবেলা থেকেইে আদর্শজীবন গঠন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বুক উঁচিয়ে চলতে পারতামনা।তাঁর দেখানো পথ ধরেই সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশুদের অধিকার রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষক সভাপতির বক্তব্যে বলেন,বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালোবেসে শিশুশিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার।যার কারণে বড় হয়ে তিনি একক জাতীয় নেতা রপে স্বাধীন একটি জাতির জন্ম দিতে পেরেছেন।তাই আমরা আশা করি দেশের প্রতিটি শিশু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হবে। তার মতো দেশপ্রেমিক হবে।
সবশেষে ‘শাশ্বত স্বাধীনতা’ নামের বিশেষ দেয়ালিকা উম্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ এবং এতে ছাত্রছাত্রীদের আঁকা ছবি ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠকদের মুগ্ধ করে।৭ই মার্চ কুইজ বিজয়ী এবং ১৭ই মার্চ এর দেয়ালিকার সেরা লেখকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান।
Discussion about this post