অনলাইন ডেস্ক
করোনায় কাঁপছে সারা বিশ্ব। আর সেই কাঁপুনিকে আরো বাড়িয়ে দিল নতুন এক গবেষণা। বলা হচ্ছে, করোনা নাকি কথা বলার সময়ও ছড়াতে পারে। কথা বলার সময় মানুষের মুখ থেকে ছোট ছোট জলকণা বের হয়। সেই জলকণাগুলো একটি আবদ্ধ ঘরে ১২ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বাতাসে ভাসতে পারে। আর সেই জলকণাগুলোর সংস্পর্শে গেলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের (এনআইডিডিকে) এক দল গবেষক এই তথ্য জানান। তারা এক করোনা রোগীকে নিয়ে একটি বক্সের ভেতরে ঢুকান। এরপর তাকে বলা হয়, বার বার ‘স্টে হেলথি’ বলে কথা বলার জন্য। তাকে ২৫ সেকেন্ড বক্সের ভেতরে রাখা হয়। ওই বক্সের ভেতরে একটি লেজারও রাখা হয়। লেজার দিয়ে করোনাভাইরাসকে দেখা হয এবং গণানা করা হয কতোক্ষণ ভাইরাস ভেসে থাকে।
তাদের গবেষণা মতে, করোনাভাইরাস আবদ্ধ ঘরে গড়ে ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। তাদের এই গবেষণাপত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসেডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের জার্নালে প্রকাশিত হয়।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, মানুষের মুখের লালাতে করোনাভাইরাস থাকলে তা কথা বলার সময় বের হয়ে যেতে পারে। প্রতি মিনিটে ভাইরাস যুক্ত এক হাজার জলকণা কথা বলার সময় বেরিয়ে আসতে পারে। আর সর্বনিম্ন ৮ মিনিট আবদ্ধ ঘরে ভেসে থাকতে পারে করোনা যুক্ত এই জলকণা।
গবেষকরা জানান, এই গবেষণায় লেজারে দেখা যায় কিভাবে স্বাভাবিক কথা বলার সময় মানুষের মুখ থেকে করোনা বের হয়ে আসে। আর কিভাবে ১০ মিনিট বা তারচেয়েও বেশি সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এই মারণ ভাইরাসটি সীমিত জায়গায় মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
এর আগেও তাদের আরো একটি গবেষণায় জানানো হয়, স্বাভাবিকভাবে কথা বললেও মানুষের মুখ থেকে জলকণা ছড়িয়ে করোনা ছড়াতে পারে। কিন্তু বাতাসে কতোক্ষণ ভেসে থাকতে পারে বা করোনা সেই জলকণায় ছড়াতে পারে কি-না তা নিয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এবার কিন্তু বেরিয়ে এসেছে স্বাভাবিক কথা বলার সময়ও ছড়াতে পারে করোনা। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন নামক জার্নালে এপ্রিল মাসে তাদের ওই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
কথা বলার মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন আরো বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছে জনমানুষের মনে। করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মাস্ক পরেই হয়তো কথা বলতে হবে। এছাড়া করোনা ছড়াতেই থাকবে।
সূত্র: এএফপি।
Discussion about this post