শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাস চাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে ৭ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থী ৩ লাখ টাকা পাবেন। আগামীকাল বুধবারের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দেব। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি। এছাড়া, বাস মালিক সমিতি নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা ও আহতকে এক লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কাপ্তাই রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে। রাস্তায় যেন বেপরোয়া গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য স্পিড ব্রেকার দেওয়া হবে। যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিটসহ সবকিছু আছে কি না তা দেখার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ সড়ক অবরোধ ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চুয়েট শিক্ষার্থীদের
সভায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ বলেন, এই ঘটনায় জড়িত শাহ আমানত বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে বলে আশা করছি।
চুয়েট উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চুয়েটে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এক মাসের মধ্যে নতুন দুইটি বাস সংযোজন করা হবে।
Discussion about this post