শিক্ষার আলো ডেস্ক
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) প্রশাসন! এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর মোহাম্মদ অহিদুল আলম। তিনি সাংবাদক সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ভর্তি ও বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলছি। ডোপটেস্ট পজিটিভ হলে ভর্তি ও ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে।’বৃহস্পতিবার (২ মে) চবি প্রক্টর কার্যালয়ে এসব কথা বলেন প্রক্টর মোহাম্মদ অহিদুল আলম।
দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে—কানাচে শিক্ষার্থীদের মাদক সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। মাদক সেবনের মাত্রা নিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। ছাত্র হলগুলোর রুমেও বসছে মাদকের আখড়া। কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের রুমে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮—১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয়ের মদের বোতল নিয়ে তোলা ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মাদক সেবনের ‘শাস্তি’ হিসেবে তাকে মারধর করেন একই হলের অন্য কয়েকজন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুনঃ সমাবর্তন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের সনদ দিতে পারবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় !
মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম বলেন, এতদিন যা ঘটে গেছে তা গেছে। এখন মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। আমরা এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি। আমাদের পরিকল্পনা হলো, প্রথমদিকে আমরা ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট নেব। ডোপটেস্ট পজিটিভ এলে ভর্তি বাতিল হবে।
তিনি বলেন, এরপর বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও শিক্ষার্থীদের ডোপটেস্ট সার্টিফিকেট দিতে হবে। পজিটিভ আসলে বাতিল হবে ছাত্রত্ব।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি প্রতিবছর ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর টেস্ট পজিটিভ হয় আমরা তার ভর্তি বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। এটা প্রতিবছর করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্যই আমাদের এ পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। এজন্য আমাদের যা করা দরকার আমরা করবো।
Discussion about this post