শিক্ষার আলো ডেস্ক
৩০ জুনের সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি চারপাশের পরিবেশকে করে তুলেছিলো স্নিগ্ধ ও মনোরম। বৃষ্টির পর সকাল দশটায় যখন বন্দরনগরীর প্রথম ডিজিটাল বিদ্যাপীঠ সাউথ এশিয়ান স্কুলের মিলনায়তনে আয়োজিত ফল উৎসব-২০২৪ শুরু হয়, তখন আকাশে মৃদু মেঘের ছায়া আর বাতাসে ছিল বৃষ্টির সতেজতা।
অনুষ্ঠানে ছিল বাঙালি সাজসজ্জার বিশেষ আকর্ষণ। চাটাইয়ের ব্যানার, খড়ের বাড়ি, কুলায় রঙিন আর্ট, দেয়ালে পোস্টার ও হরেক রকম ফলের প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
দেশীয় ফলের বৈচিত্র্যময় রূপ ও স্বাদ উপস্থাপনে জমজমাট এই উৎসবের মধ্যমণি ছিলেন আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট বাংলা ব্যাকরণ গবেষক ডক্টর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্যাহ ভুঁইয়া।সাথে ছিলেন সভাপতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ ,বিশেষ অতিথি শিক্ষার আলো অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক এস.এম. পারভেজ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সালেহউদ্দিন।
উৎসবে প্রধান অতিথি ফলের গুণাগুণ ও পুষ্টিমান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করেন।তিনি ছোট্টমণিদের আয়োজনে এবং গান,কবিতা পরিবেশনায় আপ্লুত হয়ে উৎসবের প্রশংসা করেন এবং এ রকম আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি আগামী প্রজন্মের এই শিশুকিশোরদের শৃংখলাপূর্ণ জীবন যাপনের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে পিতামাতার স্বপ্নপূরণে সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার আশা ব্যক্ত করেন। এমন একজন গুণী অধ্যাপককে কাছে পেয়ে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা লাভ করে।
বিশেষ করে প্রধান অতিথির কুইজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুরস্কার হিসেবে পছন্দের ফল বাগিয়ে নেয়ার পর্বটি ছিলো বেশ মজার!
ফল উৎসবে দেশীয় লটকন, আমড়া, আমলকি, চামফল, ডেউয়া, লুকলুকি,লাল ও সাদা জামরুল, বেতফল, বাঙ্গি, আনারস, পেয়ারা, আম,পেঁপে, কাঁঠাল, জাম,লিচু, কামরাঙা, ড্রাগন ফল,সামামা, স্ট্রবেরী, আতা,শরীফা, পানিফল ইত্যাদির শৈল্পিক সমাহার্ দর্শকদের ভীষণ আনন্দ দেয়।
প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা লকিতুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে জন্মে আমরা সৌভাগ্যবান যে এমন রঙিন গ্রীষ্মকাল পাই, এত রকমের দেশি ফল উপভোগ করতে পারি। দেশীয় অনেক ফলই আজ বিলুপ্তপ্রায়। আবার অনেকেই দেশি ফল চেনে না। তাই এই ফল উৎসব শিক্ষার্থীকে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে চেনানোর উপায় । তিনি এত সুন্দর আয়োজনে সকল শিক্ষক , ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
স্টল পরিদর্শন ও আলোচনা শেষে শুরু হয় ফল খাওয়ার ধুম। নানা ফলের ম-ম গন্ধে ভরে ওঠে স্কুল প্রাংগন।পাকা ফলের মধুর রসে মুখ রঙীন করে আনন্দমনে ঘরে ফেরে সাউথ এশিয়ান স্কুলের শীক্ষার্থীরা।
Discussion about this post