খেলাধূলা ডেস্ক
কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। পুরো টুর্নামেন্টে ছন্দ খুঁজে না পাওয়া মেসি এদিন গোল পেয়েছেন। গড়েছেন রেকর্ডও। হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলেছে আর্জেন্টিনা। যদিও ম্যাচে আক্রমণের খাতা খোলে কানাডাই। পাঁচ মিনিটে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন জ্যাকব শাফেলবার্গ। দুই মিনিট পরে আবারও সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
১২ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বল পান মেসি। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেয়া মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
আর্জেন্টিনাকে ম্যাচের ২২ মিনিটে আনন্দের উপলক্ষ আনে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। লাউতারো মার্তিনেজের লম্বা থ্রু বল সুবিধাজনক অবস্থায় পেয়ে যান আলভারেজ। ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল জলে জড়াতে ভুল করেননি এই আর্জেন্টাইন । তার ডানপায়ের জোরালো শট কেনাডার গোলরক্ষক ম্যাক্সিমির পায়ের ফাঁক গলে গলে জড়ায়।
আরও পড়ুনঃ টাইব্রেকার কিং মার্তিনেস কোপা আমেরিকায় আবারও লিখলেন মহাকাব্য !
প্রথমার্ধের শেষদিকে আরো দুটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের চেষ্টা করলেও স্কোরেলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
টুর্নামেন্টে প্রথম গোলের খোঁজে থাকা মেসি প্রথমার্ধে লক্ষ্য মিস করলেও অবশেষে দ্বিতীয়ার্থে পেয়ে যান গোল। ৫১ মিনিটে থ্রো থেকে পাওয়া বলে মেসি বক্সের কাছে সতীর্থকে পাস দিয়েছিলেন। তার পর কানাডা ডিফেন্ডার সেটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুলক্রমে পেনাল্টি এড়িয়ায় দাঁড়ানো এনজোর কাছে গেলে তার শটেই গোলমুখে দাঁড়ানো মেসি আলতো টোকায় জালে পাঠান বল।
এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষে মেসি জানিয়েছেন, এবারের যাত্রাটা সহজ ছিল না। মেসি বলেন, ‘এই দলটা যা করেছে, এটা পাগলামী; আর্জেন্টিনা জাতীয় দল যা করছে তাও। এটার পর, অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে ফাইনাল খেলা খেলোয়াড়দের, যারা পুরোনো প্রজন্মের ছিল।’
কানাডার বিপক্ষে গোল করে ফুটবলের ইতিহাসে জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি। ইরানের কিংবদন্তী আলী দাঈ-এর ১০৯ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসালেন এই আর্জেন্টাইন। আর মেসির উপরে এখন শুধু রয়েছেন পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
আগামী সোমবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় কোপার ফাইনাল খেলতে মাঠে নামবে লিওনেল স্ক্যালোনির দল।
Discussion about this post